পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার আইরন জয়কুল এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মুনিয়া আক্তারকে (১৫) গত ৮ জুন স্থানীয় কিছু বখাটে অপহরণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর থেকে মেয়েকে ফিরে পেতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ওই ছাত্রীর মা জোবেদা আক্তার জবা। ঘটনার দিনই কাউখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু অপহরণের ১৫ দিনেও কোনো সন্ধান মেলেনি মেয়েটির।
গত রোববার রাতে কাউখালী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ মেয়েকে ফেরত পেতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান জোবেদা আক্তার জবা। সংবাদ সম্মেলনে জোবেদা আক্তার অভিযোগ করেন, এলাকার মাসুদ রানা রমিজ মোল্লার ছেলে স্বাধীন মোল্লা ইমন তার পিতা মাতার প্ররোচনায় স্হানীয় মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদের পাশের রাস্তা থেকে জোরপূর্বক ইজিবাইকের করে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ কাজে তাকে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন তার বন্ধু সিফাত হোসেনসহ অন্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ওইদিনই কাউখালী থানায় মুনিয়ার মা জোবেদা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ করেন।
এর আগে অপহরণকারী ইমন তার মেয়েকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতেন। বিষয়টি তিনি ইমনের পরিবার, ইউপি সদস্য ও স্কুলের শিক্ষকদেরকে অবহিত করেন। তখন ইমনের পিতা মেয়েকে তার ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার জন্য বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই স্কুলছাত্রীর মা, স্হানীয় ইউপি সদস্য মো. মাসুদ হোসেন, উপজেলা মহিলা শ্রমীকলীগের সভাপতি মাকসুদা বেগমসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, মুনিয়া আক্তার নিখোঁজের মামলা এন্ট্রি করা হয়েছে। তাকে উদ্ধারে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুত মেয়েটিকে উদ্ধারসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।