কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ডাচদের লড়াইয়ের পর ‘বাঁচলাম’ বলে হাফ ছাড়তেই পারেন আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। দেড় ডজন (১৮টি) হলুদ কার্ড দেখানোর দিনে লাল কার্ডটা যে তাদের কেউ দেখেননি। তবে সেই কার্ড না দেখিয়ে মাঠ ছাড়েননি লাহোজ। ডাচ ফুটবলার ডেনজেল ডামফ্রিজ সেদিন ১২৮ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন। তাতেই লাল কার্ডে জড়ায় তার নাম। ততক্ষণে অবশ্য শেষ বাঁশি বেজে গিয়েছিল। লিওনেল মেসিরা মেতে উঠেছিলেন জয়ের উল্লাসে।
তবে কাতারে ডামফ্রিজ একাই নন। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পাঁচজন ফুটবলারের নাম জড়িয়েছে লাল কার্ডে। এর মধ্যে তিনটিই এসেছে দুই হলুদ কার্ড দেখার কারণে। একটি এসেছে রেফারির সিদ্ধান্তের বিরোধীতার কারণে, অন্যটি মাঠে হিংসাত্মক আচরণের জন্য।
লাল কার্ডে নিজেদের নাম জড়ানোর শুরুটা করেছিলেন ওয়েলসের ফুটবলার ওয়েন হেনসি। ইরানের বিপক্ষে ম্যাচটিতে হিংসাত্মক আচরণের কারণে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
তবে লাল কার্ড পেয়েও যে হাস্যোজ্জ্বল চেহারা নিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়া যায় সেটা দেখা গেছে ভিনসেন্ট আবু বকরকে। ব্রাজিলের বিপক্ষে গোল করার পর উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন। বাধভাঙা সেই উচ্ছাস প্রকাশ করতে গিয়ে জার্সি খুলে ফেলেন তিনি। যা ফিফা আচরণ বিরোধী। সে কারণে রেফারি তাকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আগেই একটি হলুদ কার্ড দেখে বসেছিলেন। তাই রেফারি মুহূর্তের মাঝেই আবার লাল কার্ড দেখালে হাসিমুখেই মাঠ ছাড়েন এই ক্যামেরুন ফুটবলার।
ঘানার বিপক্ষে ম্যাচে ৩-২ গোলে পরাজিত হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। শেষ মুহূর্তে একটি কর্নার পেয়েছিল কোরিয়া। কিন্তু সেটাও ইনজুরি টাইম হিসেবে যোগ করা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর। হার নিশ্চিত হলে মেজাজ হারিয়ে রেফারি অ্যান্থনি টেলরের সঙ্গে ক্ষুব্ধ প্রতিবাদ প্রকাশ করেন কোরিয়ান কোচ পাওলো বেন্তো। যা ভালোভাবে নেননি রেফারি। উঁচিয়ে ধরেন লাল কার্ড।
টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত শেষ লাল কার্ডটি দেখেছেন মরক্কোর ওয়ালিদ চাদিরা। পর্তুগালের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন। তাতে লাল কার্ডে জড়ায় তার নাম। তবে তার এই কার্ড মরক্কোকে প্রথম আফ্রিকান ও আরব দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।