দিন ব্যাপী নানা আয়োজনে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এ উপলক্ষে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত, আলোচনা সভা, কবিতা আবৃতি, রচনা লিখন, চিত্রাঙ্কন ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত ও তর্জমা করেন ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার শিক্ষক মো. আব্দুর রহিম। এরপর ১৫ অগাস্ট শাহাদাত বরণকারী জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান।
এরপরে প্রতিষ্ঠনটির অধ্যক্ষ জনাব মো. রহমত উল্লাহ্’র সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী দেবশ্রী বর্মন, জেমিমা হাসান রিয়াহীন, ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী এরিকা রহমান এবং ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাহফুজা হাবীব মুগ্ধ আলোচনায় শোকাবহ দিনটির স্মৃতিকথা স্মরণ করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে ধারণ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষক প্রতিনিধি বিমান কুমার চক্রবর্ত্তী।
সমাপনী বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ্ শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্যে বলেন, ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে যে আত্মপ্রত্যয় ধ্বনিত হয়েছে তাতে আমি অভিভূত হয়েছি। সঠিক ইতিহাস জানিয়ে শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করার জন্যই এ আয়োজন। শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মনে ধারণ করে উজ্জীবিত হতে হবে। আমরা বারবার বলছি শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। আমরা যদি জাতির জনকের এক বা একাধিক বৈশিষ্ট্য নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারি, লালন করতে পারি, বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলেই শোককে শক্তিতে পরিণত করা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একনিষ্ঠ পাঠক। বিভিন্ন বড় বড় লেখকের বই তিনি পড়তেন। বিশেষ করে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বই তিনি বেশি পড়তেন।
এ সকল বই থেকে বিভিন্ন বক্তৃতায় উদ্ধৃতি দিতেন। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি সংগ্রাম করতে গিয়ে দীর্ঘ ১৩ বছর জেলে কাটিয়েছেন। সে সময় তিনি সেখানে বসেও বই পড়তেন। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সুযোগ পেলেই জেলখানায় বই দিয়ে আসতেন। শিক্ষার্থীদের আহ্বান করছি, তোমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালবেসে বইয়ের একনিষ্ঠ পাঠক হয়ে উঠ। শুধু পাঠ্য বই নয়, অন্যান্য বইও পড়তে হবে। জানতে হবে বীর বাঙালির ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস। লালন করতে হবে ঐতিহ্য, ধারণ করতে হবে আদর্শ।সবশেষ সংস্কৃতিক পরিবেশনা ও পুরস্কার বিতরণ পর্বে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।