মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা শেখ শাকিলকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন তার বাবা হাবিবুর রহমান। এদিকে শাকিলকে গ্রেফতারের পর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শাকিলের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমরা, আইন সবার উপরে, তাই আমি আমার ছেলে শাকিলকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এনামুলের কাছে সোপর্দ করেছি। ছেলের বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম শাকিল গজারিয়ায় এক বন্ধুর বাসায় আছে। তখন আমি পুলিশ নিয়ে সে বাসায় যাই। আমার কথা হচ্ছে শকিল দোষী হলে আইন যা শাস্তি দেবে তাই হবে। আমি স্বেচ্ছায় তাকে সোপর্দ করেছি। সে অপরাধ করে থাকলে শাস্তি হবে, অপরাধ না করে থাকলে সে মুক্তি পাবে।
তিনি আরও দাবি করেন, আমার ছেলে রাজনীতি করে বিভিন্ন সময় মারামারি ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এরকম কোন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না।
এর আগে শনিবার (৮ জুলাই) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাবার সহযোগিতায় কিশোরী ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত শেখ শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার বিকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। মুন্সিগঞ্জ আমলি আদালত-১ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই মো. এনামুল হক মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলার পর পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত শাকিল। ঘটনার পর তিনি নারায়ণগঞ্জ পালিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান পরিবর্তন করে সবশেষ শনিবার রাতে গজারিয়া আসেন। সেখানে রাতে অবস্থান করে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ছাদে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ শাকিলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।