দৈনিক শিক্ষাডটকম, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গোলাগুলির ঘটনায় মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের সফিক মোড় এলাকার মাটির মসজিদ সংলগ্ন স্থানে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোর গ্যাং সদস্য ফরিদ (২৫) উপজেলার উজিলাব গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। তিনি শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কলেজের স্নাতকের ছাত্র।
নিহতের চাচা জালাল উদ্দিন বলেন, ‘(মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আনসার টেপিরবাড়ি স্কুলের সামনে ভাতিজা ফরিদের সঙ্গে কিশোর গ্যাং এমরান গ্রুপের সদস্য সাকিবের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এরই জেরে রাত সাড়ে আটটার দিকে সাকিব তাদের গ্রুপের আরও বেশ কয়েকজনকে নিয়ে মাটির মসজিদের জড়ো হয়। এরপর তারা সংঘবদ্ধভাবে ফরিদের ওপর হামলা চালায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় সাকিব ফরিদকে উদ্দেশ্য করে গুলি করতে থাকে। এর একটি এসে আমার ভাতিজা ফরিদের বুকে লাগে। এরপর ওঁরা ফাঁকা গুলি করতে করতে এলাকা থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে আমরা ফরিদকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত ফরিদের দলের কমপক্ষে ১০-১২ জন আনসার টেপিরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন। আড্ডা শেষে তাঁরা রাস্তা ধরে বাড়ি ফেরার পথে টেপিরবাড়ি মাটির মসজিদসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছামাত্র ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর তাঁদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। একটি গুলি ফরিদের শরীরে লাগে। আতঙ্কে সঙ্গে থাকা অন্যরা দৌড়ে নিরাপদে সরে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে ছিলেন ফরিদ।’
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নাজমুল হুদা আজকের পত্রিকা বলেন, ‘রাত ৯টা ১০ মিনিটে সময় গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় তাঁর স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর থানা-পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকবর আলী খান বলেন, ‘খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের বেশ কিছু সদস্য কাজ করছে।’