পটুয়াখালীর বাউফলে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্ধে পেটে ছুরিকাঘাত করে দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (২২ মার্চ) রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক দুইজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতদের স্বজনদের দাবি, উপজেলার পাঙ্গাসিয়া এলাকার একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরাই এ হামলা চালিয়েছে। নিহতরা
শেবাচিম হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ কবির আহম্মেদ বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। শেবাচিমে উপস্থিত বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও নিহত নাফিজের স্বজন আনিসুর রহমান হাওলাদার বলেন, পাঙ্গাসিয়া এলাকায় একটি কিশোর গ্যাং রয়েছে। তারাই এ হামলা চালিয়েছে। মৃত মারুফের মা আসমা বেগম বলেন, বুধবার বিকেলে বাসায় বসে তিনি ছেলের ওপর হামলার খবর পেয়েছেন। তবে কেন এ হামলা চালানো হয়েছে তা তিনি বলতে পারছেন না।
অপরদিকে সন্তানের শোকে আহাজারিতে বার বার মূর্ছা যেতে দেখা যায় নাফিজের মা নারগিস বেগমকে। সন্তানহারা দুই মায়ের আহাজারিতে গোটা হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম বলেন, মৃত দুই ছাত্রের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সাথে জড়িত কয়েকজন কিশোরকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।