চলতি অর্থবছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৫৩ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট পাশ হয়েছে। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে ৭৬ তম সিন্ডিকেটে এ বাজেট পাস হয়। জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। এতে গত ২১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির (এফসি) ৪৫তম সভায় প্রস্তাবিত বাজেটের সুপারিশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৩ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মূল বরাদ্দ ছিল ৪২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত আকারে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে আয়ের উৎস হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনুদান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়। এর মধ্যে প্রারম্ভিক স্থিতি ৩ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৪২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে ৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরে ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়াও পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তা ১৩ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, পেনশন ও অবসর সুবিধা বাবদ ২ লক্ষ টাকা, গবেষণা অনুদান ১ কোটি ২০ লাখ টাকা, অন্যান্য অনুদান বাবদ ২ লাখ টাকা ও মূলধন অনুদান ৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা রাজস্ব (আবর্তক ও মূলধন) বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করণে শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ব হতে ১১টি বিআরটিসি বাস ভাড়া নেয়া আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পদ হিসেবে মোট ৯ টি বাস (৬টি বড় বাস, ০৩টি এসি মিনিবাস), ৫টি মাইক্রোবাস, ২টি জীপ, ১টি কার, ১টি এ্যাম্বুলেন্স নিজস্ব পরিবহন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান রয়েছে।
২০১৯-২০২০ অর্থবছরে নতুন প্রকল্পের অর্থায়নে ৩টি বাস, ১টি জীপ, ১টি এম্বুলেন্স ও ৪টি মোটর সাইকেল এবং রাজস্ব বাজেটের অর্থায়নে ১ টি পিকআপ কেন হয়েছে যা নিজস্ব পরিবহন সেবায় সংযোজিত হবে। চলতি অর্থ বছরে বিমকের অর্থায়নে ১টি মাইক্রোবাস, ১টি এসি মিনিবাস বাস এবং প্রকল্পের অর্থায়নে ২টি মাইক্রোবাস ক্রয় করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ গতিশীল রাখার জন্য ১৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার একটি মেগা উন্নয়ন প্রকল্প ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ অক্টোবর অনুমোদন পায়। প্রকল্পের ভুমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়ার সকল জটিলতা শেষে ভূমি অধিগ্রহন, ভূমি উন্নয়ন, ড্রয়িং, ডিজাইন, সুপারভিশনসহ ৪টি একাডেমিক ভবন নির্মাণ (দশতলা বিশিষ্ট), দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ (ছয়তলা বিশিষ্ট), ২টি ছাত্র হল, ২টি ছাত্রী হল নির্মাণ (দশতলা বিশিষ্ট) এবং ৫টি ফটকের কাজ চলতি অর্থ বছরে অতি দ্রুত শুরু হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।