'জিরো টলারেন্স' নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আবাসিক হলগুলোর গণরুম-গেস্টরুম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে শুধু বৈধ শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থান, হলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করাসহ মোট আটটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে হল প্রভোস্টদের এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সভাপতিত্বে হল প্রভোস্ট ও প্রক্টরদের নিয়ে আয়োজিত এক জরুরি সভার সিদ্ধান্তের আলোকে এসব নির্দেশনা দিয়েছে কুবি প্রশাসন।
নির্দেশনাগুলো হলো, শুধুমাত্র নিয়মিত ও বৈধ শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবে, সকল হলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, গেস্টরুম-গণরুম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, হলে একক কক্ষ নিয়ে কোনো শিক্ষার্থী বসবাস করতে পারবে না, যাদের ছাত্রত্ব নেই তারা হলে অবস্থান করতে পারবে না, হলে সিট বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী হবে, স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর হলগুলোতে পাঠাবে এবং হলে কোনো সমস্যা দেখা দিলে হল প্রশাসন সমাধানের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
হলের সিট বরাদ্দের নীতিমালা সম্পর্কে জানতে চাইলে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট ড. মিহির লাল ভৌমিক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রত্যেক হলে সিট বরাদ্দের নীতিমালা করা হয়েছে। শিগগিরই তা বাস্তবায়ন করা হবে।
নতুন ১৭ ব্যাচের যেসব শিক্ষার্থী হলে উঠেছে তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, তাদের তো এখনো সিট বরাদ্দ হয়নি। বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত তারা হলে থাকতে পারবে না। আমার হলের নতুন শিক্ষার্থীদেরকে আমি ওয়ার্নিং দিয়ে আসছি। তাদেরকে বলছি, আপনাদের বের হয়ে যেতে হবে। কারণ তারা তো জানেনই না তাদের কোন হলে সিট বরাদ্দ। সুতরাং এই মুহূর্তে তাদের হলে থাকার কোনো সুযোগ নেই।