দৈনিক শিক্ষাডটকম, কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা এবং হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হলেও তা মানছেন না বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। তবে প্রশাসনের দেয়া ৫টি বাসে করে কিছু শিক্ষার্থী হল ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে অনেকেই প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে রয়ে গেছেন আবাসিক হল গুলোতে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দ্বিতীয় দিনের মতো হল ও ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়ায় শিক্ষার্থী বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। হলে থাকা শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষক দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কোন ভাবেই বন্ধ থাকতে পারে না।
এদিকে, মঙ্গলবার সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। হল ছাড়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খোলা রাখার দাবিতে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানান, খুব শীঘ্রই আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে, বুধবার (১ মে) সকাল থেকে দলে দলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে তারা কেন ভোগান্তির শিকার হবেন, সেই প্রশ্ন তোলেন।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, হল বন্ধ হলেও শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করলেও তাদের বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হবে না। পাশাপাশি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্ব নিরসনে তারা কাজ করবেন।
মানববন্ধনে অংশে নেওয়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা হল ছেড়ে কোথাও যাবো না, আমাদের ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করতে হবে। ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে আমরা কেনো বলির পাঠা হবো, আমরা এসব নাটকের প্রতিকার চায়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ভিসি-শিক্ষক সমিতির চলমান দ্বন্দ্বে নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় চলমান সংকট নিরসনের জন্য জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।