দৈনিক শিক্ষাডটকম, কুবি প্রতিনিধি: সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি দুই দিন ক্লাস বর্জনসহ মোট তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সাধারণ সভা শেষে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মাহমুদুল হাছান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবিগুলো হলো- গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য কার্যালয়ে উপাচার্যের উপস্থিতিতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও কিছু অছাত্র কর্তৃক শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলায় নেতৃত্ব দানকারী কর্মকর্তা জনাব মোঃ জাকির হোসেনের সাময়িক বহিষ্কারপূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার ও জড়িত সকলের সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিতকরণ এবং হামলায় মদদদানকারী প্রক্টর জনাব কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ, ঢাকাস্থ গেস্টহাউজ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অবমুক্ত করা, অধ্যাপক গ্রেড-১ ও অধ্যাপক গ্রেড-২ পদে পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক বিভিন্ন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান ও অনুষদসমূহের ডিন নিয়োগ এবং ইতোমধ্যে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যেসকল বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের প্রত্যাহার করা, শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে আইন বহির্ভূত অবৈধ শর্ত আরোপ করে জ্যেষ্ঠতা ক্ষুন্ন করার মাধ্যমে যে সীমাহীন বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে দ্রুততম সময়ে সেসবের নিষ্পত্তিকরণ, ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত বিতর্কিত শিক্ষাছুটি নীতিমালা রহিত করে পূর্বের নীতিমালা বহাল রাখা ৮৬তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
উপরে উল্লিখিত সাত দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে শিক্ষক সমিতির নেয়া তিনটি তিনটি সিদ্ধান্ত হলো- বুধ ও বৃহস্পতিবার ক্লাস বর্জন (পূর্ব ঘোষিত চূড়ান্ত পরীক্ষা এই কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে), আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১৯ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে, গত ৬ মার্চ উপাচার্য শিক্ষকদের সম্পর্কে যে বিরূপ মন্তব্য করেছেন (শিক্ষকরা এক কলম লিখতে পারেনা, শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা নেয় না, শিক্ষকরা টাকা দিয়ে পাবলিকেশন করে ইত্যাদি) এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং শিক্ষকদের সম্পর্কে মাননীয় উপাচার্যের এহেন বক্তব্য প্রত্যাহারের অনুরোধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ' এই দাবি সকল শিক্ষকের। আমরা শিক্ষক সমিতি থেকে আগেও এই বিষয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে উপাচার্য মহোদয়কে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'