তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, শিক্ষা পদ্ধতি কুমন শিশুদের গণিত ও ইংরেজিভীতি কাটিয়ে প্রতিভা বিকাশে সহায়ক হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং ব্র্যাক কুমন লিমিটেড এর মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয় সোমবার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এই কথা বলেন মন্ত্রী। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব এবং স্কুল অব ফিউচার সমূহে জাপানি শিক্ষা পদ্ধতি ‘কুমন’ চালুর লক্ষ্যে (আফটার স্কুল প্রোগ্রাম) এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানী শিক্ষা মেথড কুমন দেশে ছড়িয়ে দিতে এ বছর থেকে আইসিটি বিভাগের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব সমূহে কুমন শিক্ষাক্রম চালু করা হচ্ছে। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৬টি স্কুল অব ফিউচারে পাইলট বাস্তবায়ন করা হবে এবং ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচারে পুরোপুরিভাবে এ আনন্দদায়ক এই শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা হবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রয়োজন স্মার্ট সিটিজেন আর স্মার্ট সিটিজেনের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট ভবিষ্যত প্রজন্ম। ২০৪১ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী আগামীর স্মার্ট ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়তে ব্র্যাক কুমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য, ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে জাপানি গণিত শিক্ষক তরু কুমন সহজে গণিত ও ভাষা শিক্ষার একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যা ‘কুমন পদ্ধতি’ নামে পরিচিতি।প্রথমে জাপানে, পরে বিভিন্ন দেশে বিস্তার লাভ করেছে এই পদ্ধতি। বর্তমানে এ পদ্ধতিতে পৃথিবীর ৬০ দেশে ১৪ হাজার ৫০০ স্কুলে কুমন শিক্ষাপদ্ধতি চালু আছে।এর আগে প্রতিমন্ত্রী আইসিটি বিভাগের আইডিয়া ফ্লোরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপ-টেক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও আমব্র সিস্টেমের চেয়ারম্যান সাইফ আল আলেলিসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন।এসময় তারা ডীপ-টেকে বিনিয়োগ, মানব সম্পদ উন্নয়ন, ফাইনেনশিয়াল ডাটা সেন্টার, সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে যৌথ কোলেবরেশনে কাজ করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।