কুমিরায় মুক্তিযুদ্ধের লড়াই - দৈনিকশিক্ষা

কুমিরায় মুক্তিযুদ্ধের লড়াই

মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া |

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় সহযোগীদের নিয়ে ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে নিরস্ত্র মানুষের ওপর কাপুরুষোচিত নিধনযজ্ঞ চালায়। গুলি করে হত্যা করে হাজার হাজার মানুষ। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে এদেশে যে গণহত্যা হয়েছে তা মধ্যযুগের যেকোনো গণহত্যাকে হার মানায়।

আমি তখন চট্টগ্রাম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে ইয়াং অফিসার ‘ক্যাপ্টেন ভূঁইয়া’। অন্যান্য বাঙালির মতো আমারও রাগে-ক্ষোভে রক্ত টগবগ করছে। ২৬ মার্চ ১৯৭১। ইচ্ছে ছিলো সন্ধ্যার আগেই ক্যান্টনমেন্ট দখল করব। কিন্তু জানতে পারলাম শত্রুপক্ষের শক্তিবৃদ্ধির জন্য কুমিল্লা থেকে ২৪ এফ এফ রেজিমেন্ট এগিয়ে আসছে। এটা কীভাবে প্রতিরোধ করবো সেটাই তখন আমার কাছে প্রধান কর্তব্য হয়ে দাঁড়ালো।

বিকেল ৫টা। ২৪ এফ এফকে প্রতিহত করার জন্যে কুমিল্লার দিকে অগ্রসর হলাম। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট আর ইপিআর-এর মাত্র ১০২ জন সৈন্য নিয়ে অভিযানে বের হলাম। আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মোকাবেলা করার জন্য আমাদের সম্বল মাত্র একটা হেভি মেশিনগান, বাকি সব রাইফেল। এতো অল্প সংখ্যক সৈন্য নিয়ে পুরো একটা সুসংগঠিত ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাওয়ার ঝুঁকি যে কী ভয়াবহ এবং তার পরিণাম যে কী মারাত্মক হতে পারে, সেদিন তা উপলব্ধি করতে পারিনি। কোনো প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে এর আগে সক্রিয় অংশগ্রহণ করার অভিজ্ঞতা নেই বলেই যে এতো বড় একটা ঝুঁকির পরিণাম উপলদ্ধি করতে পারিনি তা নয়, আসলে মনটা ছিলো প্রতিশোধের স্পৃহায় উন্মত্ত। ক্ষোভে, ক্রোধে ও আবেগে উত্তেজিত। তাই ঠান্ডা মাথায় আগ-পিছ বিবেচনা করে পরিকল্পনা করার সুযোগ ছিল না। অন্য কিছু না থাকলেও যুদ্ধের সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি প্রয়োজন, সেই সাহস, সেই উদ্দীপনা, সেই আকাঙ্ক্ষা আমাদের ছিলো। আমাদের এই দৃঢ় মনোবল ও আত্মবিশ্বাস সেদিন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস ও শক্তি জুগিয়েছিল।

আগেই খবর পেয়েছিলাম, শত্রুবাহিনী ফেনীর কাছে শুভপুর ব্রিজ পেরিয়ে এগিয়ে আসছে। তাই যতো দ্রুত তাদের গতি প্রতিহত করা যায় ততই আমাদের জন্য কল্যাণ। আমার কথা মতো স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মী ৫টা ট্রাক এনে হাজির করলো। তখন আমার সৈন্যদের ও জনসাধারণের মধ্যে প্রত্যেকেরই যেনো একটা যুদ্ধংদেহী ভাব। তাদের চেহারা দেখে মনে হচ্ছিল যেনো দীর্ঘদিনের পূঞ্জীভূত বেদনা, বঞ্চনা, ক্ষোভ, এবং আক্রোশ বিদ্রোহের আগুনে ফুঁসে উঠেছে, যা এক দুর্জয় সংগ্রামের ভেতর দিয়েই যেনো স্ফূরিত হতে চায়। ২৩ বছরের পাকিস্তানি শোষণ ও অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে আজ সবাই যেন বদ্ধপরিকর।

আমি আমার দলের ১০২ জনযোদ্ধাকে ৪টি ট্রাকে উঠালাম আর বাকি ট্রাকটিতে গুলির বাক্স উঠিয়ে দিলাম। আমি নিজে একটা মোটরসাইকেলে চড়ে সবার আগে চললাম। উদ্দেশ্য এগোনোর সাথে সাথে পথের দু’পাশে এমন একটি সুবিধাজনক স্থান খুঁজে নেয়া, যেখান থেকে শত্রুর ওপর আঘাত হানা যায়। শুভপুরের উদ্দেশে সেদিন আমাদের যাত্রাপথের দৃশ্য ভোলার নয়। রাস্তার দু’পাশে শত শত মানুষের ভিড়। তাদের মধ্যে কল-কারখানার শ্রমিকই বেশি। মুখে তাদের নানান শ্লোগান,  সেই হাজারও কণ্ঠে আকাশ বাতাস মুখরিত হচ্ছিল।

গত রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে ইয়াহিয়ার লেলিয়ে দেয়া বর্বর বাহিনী অতর্কিত আক্রমণ, নির্মম হত্যা, বিশেষ করে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জওয়ানদেরকে পাশবিকভাবে হত্যা করার খবর এরই মধ্যে মানুষের কানে পৌঁছে গেছে। যে কোনোভাবে এই বিশ্বাসঘাতকতার উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য যেনো তারা প্রস্তুত। সুতরাং যখনই তারা দেখতে পেলো খাকি পোশাক পরা ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইপিআর-এর  জওয়ানরা অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শত্রুর মোকাবেলা করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে তখন তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠল। মুহুর্মূহু তারা শ্লোগান দিতে লাগল, জয় বাংলা। এদিকে তাদের কেউ কেউ আমার সৈন্যদের কী দিয়ে কীভাবে সাহায্য করতে পারবে তাই নিয়ে মহাব্যস্ত হয়ে পড়লো।

আমাদের সৈন্য বোঝাই ট্রাকগুলো তখন ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে। এমন সময় একজন বুড়ো তার পথের পাশে দোকান থেকে তিন কার্টন সিগারেট নিয়ে এসে আমার হাতে তুলে দিল। বলল, স্যার, আমি গরীব মানুষ, কিছু দেয়ার মতো আমার ক্ষমতা নেই, এই নিন আমার দোকানের সিগারেট, আপনার জোয়ানদের মধ্যে বিলিয়ে দিন। বৃদ্ধের এই সহানুভূতি ও আন্তরিকতায় আমার মন ভরে উঠলো। আর একজন একটি ট্রাকে করে প্রায় এক ড্রাম কোকাকোলা নিয়ে এলো।  কেউ কেউ খাদ্য সামগ্রীও নিয়ে এলো। তাদের এই আন্তরিকতা ও ভালবাসা আমাদের আনন্দে উদ্বেল করে তুলল। কেমন করে কীভাবে তারা সেসব জিনিস সেই দিন সংগ্রহ করেছিল, তা ভাবলে আজও অবাক লাগে।

সন্ধ্যা ৬টা। আমরা কুমিরায় পৌঁছে গেলাম। শত্রুকে বাধা দেয়ার জন্য স্থানটি খুবই উপযুক্ত মনে হলো। পথের ডানে পাহাড় এবং বাম দিকে আধ মাইল দূরে সমুদ্র। শত্রুর ডানে এবং বামে প্রতিবন্ধক, সেজন্য শত্রুকে এগুতে হলে পাকা রাস্তা দিয়েই আসতে হবে। তাই সেখানেই পজিশন নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। পিছনে একটি খাল। ঐ খাল থেকে ৪০০/৫০০ গজ সামনে অর্থাৎ উত্তর দিকের জায়গা বেছে নিই। খালটি কোনো পদাতিক বাহিনীর জন্য তেমন কোনো বাধা নয়। উদ্দেশ্য ছিলো, যদি শত্রু আমাদেরকে বর্তমান পজিশন ছাড়তে বাধ্য করে তখন খালের পিছনে গিয়ে পজিশন নিতে পারব। এটা ছিলো আমার বিকল্প পরিকল্পনা। এলাকাটা দেখে কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রতিরোধের (অ্যামবুশ) পরিকল্পনা তৈরি করে নিলাম। স্থির করলাম ১ নং প্লাটুন ডানে, ২ নং প্লাটুন বামে এবং ৩ নং প্লাটুন আমার সঙ্গেই থাকবে। তিনজন প্লাটুন কমান্ডারকে ডেকে খুব সংক্ষেপে আমার পরিকল্পনার কথা জানালাম এবং নিজ নিজ স্থানে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব পজিশন নিতে নির্দেশ দিলাম। আমার নির্দেশ অনুযায়ী হেভী মেশিনগানটি পাশে পাহাড়ের ঢালে স্থাপন করা হলো। ইপিআর সুবেদার নিজে ভারী মেশিনগানটির সঙ্গে রইল। কারণ, এই ভারি মেশিনগানটি ছিলো আমাদের প্রধান হাতিয়ার এবং সবচেয়ে বড় সম্পদ। আমি বাম দিকের কয়েকটি এলএমজি পজিশন ঠিক করে দিলাম। আমার নির্দেশ মতো সবাই পজিশন নিয়ে নিলো। পজিশনের অবস্থাটা হলো অনেকটা ইংরেজি ইউ-এর মতো। অর্থাৎ ডানে বাঁয়ে এবং পেছনে আমাদের সৈন্য। যেদিক থেকে শত্রু এগিয়ে আসছে কেবল সেই সামনের দিকটাই খোলা।

কুমিরা পৌঁছেই মোটরসাইকেল যোগে একটা যুবককে আমরা পাঠিয়েছিলাম শত্রুর অগ্রগতি সম্পর্কে খবর নিতে। এরই মধ্যে সে খবর নিয়ে এসেছে যে শত্রু আমাদের অবস্থানের আর বেশি দূরে নেই। মাত্র চার পাঁচ মাইল দূরে। তবে তারা ধীরে ধীরে গাড়ি চালিয়ে আসছে। যে লোকটাকে পাঠিয়েছিলাম সে পাঞ্জাবিদের কাছে গিয়ে রাস্তার পাশের একটি দোকান থেকে সিগারেট কিনে ফিরে এসেছে।  সে আমাকে জানালো, পাঞ্জাবিদের পরনে কালো বেল্ট, কাঁধে কালো ব্যাজ এবং কী যেন একটা কাঁধের ওপর তাও কালো। তখন আমি নিশ্চিত হলাম যে, ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের সৈন্যরাই এগিয়ে আসছে। কারণ, ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের সদস্যরাই কেবল কালো বেল্ট, কালো ব্যাজ ব্যবহার করে থাকে। আমাদের অবস্থানের ৭০/৮০ গজ দূরে একটা বড় গাছ ছিলো। স্থানীয় লোকদের সাহায্য নিয়ে গাছের সবচেয়ে মোটা ডালটা কেটে রাস্তার ঠিক মাঝখানে ফেললাম। গাছের ডাল দিয়ে রাস্তার ওপর একটা ব্যারিকেড সৃষ্টি করলাম। রাস্তার আশপাশ থেকে কিছু ইট এনে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় রাখলাম।

এতো অল্প সময়ে জনসাধারণ কীভাবে গাছের ও মোটা ডালটা কেটে ইট সংগ্রহ করে ব্যারিকেড সৃষ্টি করলো আজ তা ভাবতেও অবাক লাগে। সৈন্যদের জানিয়েও দেয়া হলো, শত্রু সৈন্য যখন ব্যারিকেড সরানোর জন্য গাড়ি থেকে নামবে এবং একত্রিত হবে তখন আমার ফায়ার করার সাথে সাথে সকলেই একযোগে শত্রুর ওপর গুলি ছোড়া শুরু করবে। বিশেষ করে ভারি মেশিনগানটা দিয়ে অবিরাম গুলিবর্ষণ করবে।

প্রায় এক ঘণ্টা সময় শত্রুর প্রতীক্ষায় কেটে গেলো। সন্ধ্যা তখন প্রায় সাতটা। আমরা শত্রুর অপেক্ষায় ওঁৎপেতে আছি। আমাদের সামনে শত্রু বাহিনীর উপস্থিতি প্রায় আসন্ন বলে মনে হলো। দেখলাম তারা ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। ব্যারিকেড দেখে সামনের গাড়িগুলো থেমে গেল। কয়েকজন সিপাই গাড়ি থেকে নেমে ব্যারিকেডের কাছে এলো। ওদের কেউ কেউ ইটগুলো তুলে দূরে ফেলে দিতে লাগলো। পেছনের গাড়িগুলোর তখন সামনে এগিয়ে এসে জমা হতে লাগল।
শত্রুরা যখন ব্যারিকেড সরাতে ব্যস্ত, তখনই আমি প্রথম গুলি ছুঁড়লাম। সাথে সাথে আমাদের ডান দিকের ভারি মেশিনগানটি গর্জে উঠল। শুরু হলো শত্রু নিধন পালা। চারিদিক থেকে কেবল গুলি আর গুলি। ভারি মেশিনগান থেকে মাঝে মাঝে উজ্জ্বল ট্রেসার রাউন্ড বের হচ্ছে।

আমাদের আকস্মিক আক্রমণে শত্রুপক্ষ হতচকিত। ওদের সামনের কাতারের অনেকেই আমাদের গুলির আঘাতে লুটিয়ে পড়লো। সে কী ভয়াবহ দৃশ্য! তাদের কাতর আর্তনাদ আমাদের কানে আসছিল। আর যারা দিশেহারা হয়ে এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করছিল তারাও মাটিতে লুটিয়ে পড়লো। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই শত্রুদের পেছনের সৈন্যরা এ অবস্থা সামলে নিয়ে মেশিনগান, মর্টার এবং আর্টিলারি থেকে অবিরাম গোলাবর্ষণ শুরু করলো। এভাবে কতক্ষণ চলল। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও শত্রুরা আমাদের ব্যূহ ভেদ করতে পারলো না। তাদের সৈন্যবোঝাই তিনটি ট্রাকে আগুন ধরে গেলো। আমাদের মেশিন গানটা ‘নিউট্রালাইজ’ করার জন্য তারা প্রচুর পরিমাণ আর্টিলারি গোলা নিক্ষেপ করতে লাগল। কিন্তু আল্লাহর মেহেরবানিতে শত্রুর সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা প্রাণপণ লড়ে তারা শেষ পর্যন্ত দুই ট্রাক অস্ত্র ফেলে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পড়ে রইল তাদের নিথর অনেকগুলো দেহ। পরে জানতে পেরেছিলাম, লে. ক. শাহপুর খান বখতিয়ারসহ ১৫২ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছিল এ যুদ্ধে।

এই ঘটনাটি আজ থেকে ৫৩ বছর আগের। এখনও স্থানীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হয়। আমি কয়েকবার সেখানে স্থানীয় অনুষ্ঠান গিয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম লড়াইকে স্মরণীয় করার জন্য সেখানে একটি দৃষ্টিনন্দন নতুন স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি করার দরকার।

লেখক: বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য

 

সব প্রাথমিকে তারুণ্যের উৎসবে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব নিয়ে কর্মসূচি - dainik shiksha সব প্রাথমিকে তারুণ্যের উৎসবে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব নিয়ে কর্মসূচি ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে দায় নেবে না ইউজিসি - dainik shiksha ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে দায় নেবে না ইউজিসি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি: কপাল খুললো ভুল চাহিদায় সুপারিশ পাওয়াদের - dainik shiksha পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি: কপাল খুললো ভুল চাহিদায় সুপারিশ পাওয়াদের কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি আবেদন শেষ হচ্ছে কাল - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি আবেদন শেষ হচ্ছে কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু রোববার - dainik shiksha এসএসসির ফরম পূরণ শুরু রোববার অনার্স ২য় বর্ষে ফের ফরম পূরণের সুযোগ - dainik shiksha অনার্স ২য় বর্ষে ফের ফরম পূরণের সুযোগ আলামত ধ্বংস বিভাগ থেকে বের হতো প্রশ্ন, কর্মচারী আকরামের স্বীকারোক্তি - dainik shiksha আলামত ধ্বংস বিভাগ থেকে বের হতো প্রশ্ন, কর্মচারী আকরামের স্বীকারোক্তি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0042891502380371