বিক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে কুমিল্লার তিতাস থানা পুলিশের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়াও গুলিতে নিহত হয়েছেন আরেক যুবক। সোমবার (৫ আগস্ট) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাতে এসব কথা জানান তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমাইয়া মমিন।
নিহতরা হলেন, তিতাস থানার উপপরিদর্শক রেজাউল করীম ও কনস্টেবল মাইন উদ্দিন। তারা জনতার গণপিটুনিতে মারা গেছে। এছাড়া দাউদকান্দি উপজেলার তুজারভাঙা গ্রামের বাসিন্দা বাবু মিয়া (২১) গুলিতে মারা গেছেন।
সূত্র জানায়, স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা তিতাস থানা ঘেরাও করতে গেলে থানা পুলিশ আত্মরক্ষার্থে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানায় পৌঁছে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন। থানা পুলিশ সদস্যদের উদ্ধারের পর উৎসুক জনতা তিতাস থানা এবং থানার পাশের মার্কেটে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় থানা পাহারায় থাকা ২ পুলিশ সদস্য জীবন রক্ষার্থে থানার পেছনের ফটক খুলে পালানোর চেষ্টা করেন। জনতা তাদের দেখে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের দুজনেই মারা যান।
এবিষয়ে তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিন জানান, ওসি আমাদের জানিয়েছেন জনতা সব লুট করে নিয়ে গেছেন। এখনও থানায় যাওয়ার পরিস্থিতি নেই। থানায় আগুন দেওয়া হয়েছে। গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। লাশ গুলো ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করছেন তারা।