স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, কুরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি করে টিম গঠন করা হয়েছে। তারা বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলবে। গত ঈদে সন্ধ্যার আগে ঢাকার কুরবানির সব বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়েছিল। এবারো সন্ধ্যার আগেই সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে।
নির্দিষ্ট স্থানে পশু কুরবানি ও দ্রুততম সময়ে বর্জ্য অপসারণে বুধবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেন মন্ত্রী। সভায় ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়ররাও উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, এবারো নির্দিষ্ট স্থানে পশু কুরবানি করতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবস্থা নেবে। নির্দিষ্ট স্থানে পশুর হাট বসাতে হবে, যত্রতত্র পশুর হাট বসানো যাবে না। রাস্তার পাশে হাট বসানো যাবে না।
তবে ঈদের আর সপ্তাহ দুয়েক বাকি থাকলেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে এবার কোথায়, কতগুলো অস্থায়ী পশুর হাট বসবে তা জানাতে পারেননি মন্ত্রী। তিনি বলেন, এখনো ঠিক হয়নি। কুরবানির জন্য এখনো অনেক সময় আছে। আমরাও কাজ করছি, সংখ্যাটা পরবর্তীতে জানানো যাবে।
এবার সারা দেশে কতগুলো পশুর হাট বসবে, সেই তথ্যও জানাতে পারেননি তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রত্যেকটা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশনকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যৌক্তিক স্থানে পশুর হাট বসানো হবে।
কোনো সমস্যার কারণে পশুর হাটের সংখ্যা নির্ধারণে দেরি হচ্ছে কিনা- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, কোনো সমস্যা নেই। আমরা স্বস্তিকর অবস্থায় আছি। অন্যবারের তুলনায় এবার ভালো আছি। কোভিডমুক্ত পরিবেশে এবারই প্রথম আমরা ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছি, হাট-বাজারটা এবার উদযাপনপূর্ণ হবে।