বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে বাধা ও অবৈধ উপায়ে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাবেক দুই উপচার্য (ভিসি), শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ ১২জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহেদুজ্জামান বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাময়িক বরখাস্তদের মধ্যে কুয়েটের সাবেক দুই ভিসিসহ ৫ শিক্ষক, ৬ কর্মকর্তা ও এক কর্মচারী রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহেদুজ্জামান বলেন, ‘কুয়েটের সাবেক ভিসি ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার, সাবেক ভিসি ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার, সাবেক প্রো–ভিসি ও মেকানিক্যাল বিভাগের প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া এবং কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে বাধা প্রদান, বিভিন্ন সময়ে সাধারণ ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকা, সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সেইসঙ্গে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৩ এর ৪৪ (৫) ধারা ভঙ্গের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় গত ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
এই কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ৬ কর্মকর্তা ও ১ কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হলো– ডেপুটি রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রী, ডেপুটি রেজিস্ট্রার দেবাশীষ মন্ডল, সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ ও তথ্য শাখা) মনোজ কুমার মজুমদার, সহকারী কম্পট্রোলার জি.এম. আবু সাঈদ, সহকারী প্রোগ্রামার মো. ওমর ফারুক, সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার মো. মেহেদী হাসান রাজন ও অফিস সহায়ক সত্যজিত কুমার দত্ত।