কৃতি ছাত্রীদের সংবর্ধনা দিলো ওয়ারীর শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় - দৈনিকশিক্ষা

কৃতি ছাত্রীদের সংবর্ধনা দিলো ওয়ারীর শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি ছাত্রীদের সংবর্ধনা দিয়েছে রাজধানীর শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়। বুধবার বিকেলে রাজধানীর ওয়ারীতে প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ২৬০জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৬৪ জন জিপিএ-৫ অর্জন করেন। শতকরা ৯০ভাগ ছাত্রী সাফল্যের সাথে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীদের বুধবার সংবর্ধনা দেয়া হলো।

অনুষ্ঠানে ৬৪ জন কৃতি ছাত্রীর হাতে সম্মাননা স্মারক ও পরীক্ষা উত্তীর্ণ ছাত্রীদের গলায় মেডেল পরিয়ে দেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক সানিয়া বিনতে মাহতাব। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন। কলেজের অধ্যক্ষ প্রদ্যুৎ কুমার ভদ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃতি ছাত্রীদের পক্ষে নিজেদের সাফল্যগাঁথা তুলে ধরে অনুভূতি প্রকাশ করেন আনজেলী জেমিন মিতা ও তাসনিম আক্তার। 

বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক সানিয়া বিনতে মাহতাব ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অনেকগুলো ধাপ পার হয়ে একটা জায়গায় তুমি প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই ধাপটার শুরুটা এই এসএসসি এবং এরপর এইচএসসি, পরে তুমি সিদ্ধান্ত নিতে পারবে তুমি ডাক্তার হবে, না ইঞ্জিনিয়ার হবে, না আইনজীবী হবে। তবে যেটিই পড়, আশা করবো সেখানেই সেরা হবে। তোমরা এখনই জীবনের লক্ষটাকে ঠিক করে ফেল। আশাপাশে অনেক কিছুই আসবে। এটা ভালো লাগবে, ওইটা ভালো লাগবে, বাল্যবিবাহের কথা আসতেছে, সোস্যাল মিডিয়ার কথা আসতে পারে। তোমাদের কাছে যেটাই নতুন, সেটাই এডভেঞ্চার। এই এডভেঞ্চার কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ সেটা বোঝার বয়স তোমাদের হয় নাই। জীবনের লক্ষটাকে স্থির করো এবং লক্ষটাকে যদি স্থির করতে পারো যে আমি ডাক্তার হবো বা আমি ইঞ্জিনিয়ার হবো, তাহলে এই লক্ষটাই তোমাদেরকে এদিকওদিক থেকে বিরত রাখবে।  

গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, তোমরা যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছো, তোমাদের এই সাফল্যের পেছনের অংশীদার তোমাদের শিক্ষক, বিশেষ করে বাবা মায়েরা। আমি অনেক সময় মাস্ক পরে এমনভাবে গার্ডিয়ানদের সঙ্গে বসে থাকি, অনেকে আমাকে চিনতেও পারে না, অনেকের চিনতে কষ্ট হয়। অনেকগুলো ক্লাসে আমি পিছনে বসে ক্লাস করেছি, অনেক শিক্ষকরা আমাকে দেখেননি। পরবর্তীতে দেখে যখন যাওয়ার সময়। কারণ, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নজর দিচ্ছেন, শিক্ষামন্ত্রী যেভাবে নজর দিচ্ছেন সেটা করতে হবে। সন্তানের জন্য মায়েরা মিথ্যা কথা বলে, না খেয়ে বলে, আমি খেয়ে নিয়েছি, তুই খেয়ে নে। মাই সবচেয়ে বড় ডাক্তার, তিনি সন্তানের সব কিছু বোঝেন। সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষক তার মা।

শুরুতে ছাত্রীরা দলগত সঙ্গীত পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল    SUBSCRIBE   করতে ক্লিক করুন।

৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও - dainik shiksha ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল - dainik shiksha বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক - dainik shiksha এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত - dainik shiksha জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন - dainik shiksha এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032269954681396