কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা দিল বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের কনভেনশন সেন্টারে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সহসভাপতি মো. আমিন হোলালী ও মো. হাবিবুল্লাহ ডন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো শারফুদ্দিন আহমেদ, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, যমুনা বিল্ডার্সের পরিচালক (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) ড. আলমগীর আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ইলেকট্রিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের ২ শতাধিক কৃতী ও মেধাবী সন্তানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে যারা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫সহ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তাদের হাতে ক্রেস্ট ও ফুল তুলে দেন মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ তৈরির কাজ করছে সরকার। মুখস্থবিদ্যা থেকে বের হয়ে আগামীতে শিক্ষা হবে মানবিক ও বাস্তবমুখী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এখন মেট্রোরেল চালু হলো। আর শিক্ষার উন্নয়নেও কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ডা. দীপু মনি বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতোমধ্যে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। ২০২৩ সালের জন্য নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক স্তরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে। এই শিক্ষা হবে ব্যবহারিক এবং বাস্তবমুখী। শিক্ষার্থীদের পড়া মুখস্থ করতে হবে না। আর তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকবে না। আমাদের নতুন সিলেবাস ও কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়ানো, সূক্ষ্ম চিন্তার বিকাশ, যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সামগ্রিকভাবে শিক্ষার্থীদের বাস্তবধর্মী শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা।
মন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্বে সবাই কারিগরি শিক্ষায় জোর দিচ্ছে। আমরাও সেদিকে যাচ্ছি। এর মূল উদ্দেশ্য হলো মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ তৈরি করা। তবে এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও মনোযোগী হতে হবে। কারণ একটি বাচ্চা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার থেকেই পায়।
ডা. দীপু মনি বলেন, ছয় হাজার সদস্যের সংগঠন বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সদস্যদের সন্তানরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভালো ফল করছে। তাদের সংবর্ধনা দিয়ে সংগঠন মহৎ কাজ করছে।