কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বছর শেষে পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়। সামনে ঈদ, ঈদের আগেই পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা নানারকম ষড়যন্ত্র করে সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। কৃষকের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে পেঁয়াজ আমদনি নয়।
মঙ্গলবার পাবনার সাঁথিয়ায় কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষক পর্যায়ে পেয়াজ রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপনন কার্যক্রম উন্নয়ন প্রকল্প আওতায় উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নে বনগ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ মডেল ঘর উদ্ধোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিরোধীদল হুমকি ধামকি দিয়ে বলছে আমরা পালাবো,আমাদের পতন ঘটানো হবে। নির্বাচন ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। তাদের বলছি নির্বাচনে আসে ন। যদি জিততে পারেন স্যালুট দিয়ে চলে যাবো। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে স্যালুট দিয়ে আমরা আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিলাম। আপনারা দেশটারে এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছিলেন। নিজেদের কবর নিজেরা খুরেছিলেন এখন তার মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছেন। কবর থেকে উঠার চেষ্টা করেন। নির্বাচনে আসতে হবে। এইসব হুমকি দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে পারবেন না।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন পেঁয়াজ নিয়ে কেন এতো সমস্যা সেটি দেখতে। আমরা গত কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করছি, কি করে পেঁয়াজের দামটা সবার গ্রহণযোগত্যার মধ্যে রাখা যায়। পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে না পারার কারণে অনেক পেঁয়াজ পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। ঘরে রাখতে না পারায় কৃষক দ্রুত পেঁয়াজ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়। তাদের হাতে আর কোনো পেঁয়াজ থাকে না। পরে আবার দাম বেড়ে যায়।
কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি পেঁয়াজের সংরক্ষণের সময় বাড়াতে। আমরা দেশীয় ও আধুনিক প্রযুক্তিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছি। এজন্য আমরা পরীক্ষামূলকভাবে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, ভোলা, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলায় ৬০টি করে পেঁয়াজ সংরক্ষণের গোডাউন ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। যদি সফল হই তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরাই ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবো।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আকতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন, সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি হাসান আলী খান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জিব কুমার গোস্বামী।