খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষক বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।
রোববার দুপুরে তিনি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের স্বরসতিপুর বাজারে হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার নবনির্মিত খাদ্যগুদাম উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আটটি অত্যাধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এর একটি নির্মিত হচ্ছে এই মহাদেবপুরের ভীমপুরে। এগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এগুলো নির্মিত হলে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য মজুদ করা যাবে। এছাড়াও সারাদেশে আরো দুইশ’ পেডি সাইলো নির্মাণ করা হবে। এগুলোর ধারণ ক্ষমতা হবে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন। এরই মধ্যে ৩০টির অনুমোদন হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, সারাদেশের খাদ্যগুদামগুলোর ধারণ ক্ষমতা ২১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। এটা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। বর্তমানে ২০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। গুদামগুলোতে এখন খাদ্যশস্য রাখার জায়গা হচ্ছে না। পেডি সাইলো নির্মিত হলে প্রান্তিক কষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। ভেজা ধান রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা শুকিয়ে যাবে। ভেজার অভিযোগে আর কোনো কৃষককে ধান ফেরত নিয়ে যেতে হবে না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন চাল ও চার লাখ মেট্রিক ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী আগস্ট মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ঈদের আগে পর্যন্ত ৭ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে।
মন্ত্রী এরআগে নবনির্মিত খাদ্যগুদামের ফলক উন্মোচন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম খান সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভির রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান, উপজেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলাল উদ্দিনসহ অনেকে।