কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টির ভয় এবং টাকা সংকটে জমির পাকা ধান তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন রৌমারীর কৃষাণী রহিমা বেগম। বিষয়টি জানতে পেরে ১০ কাঠা জমির বোরো ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান সুমনের নেতৃত্বে উপজেলার জিগ্নীকান্দী গ্রামের রহিমা বেগমের ১০ কাঠা জমির ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেয় ছাত্রলীগের একটি দল। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি, আশিকুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামন ও সদস্য নাজমুল হাসান জীবন, আরশাদ আহমেদ, শাকিল আহমেদ, রায়হান আহমেদসহ আরো অনেকেই।
কৃষাণী রহিমা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘আমি গরীব তেমন টাকা পয়সা নাই। অল্প জমিতে ধান লাগাইছি। কিন্তু ধান কাটার জন্য কামলা (শ্রমিক) অনেক টাকা চায়। এদিকে বৈশাখ মাসের ঝড়-বৃষ্টির ভয় নিয়ে আত্মীয় স্বজনরে ডাকছিলাম কেউ সাড়া দেয়নি। পরে ছাত্রলীগের নেতারা রোদের ভেতর এতো কষ্ট করে আমার জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিলেন। আমার খুবই উপকার হলো। আমার মজুরির টাকা বেঁচে গেল। আমি প্রধানমন্ত্রীসহ তাদের সবার জন্য দোয়া করি।’
রৌমারী উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান সুমন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্বাহী সংসদ সভাপতি ও সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা উপজেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী এক অসহায় কৃষাণীর জমির ধান কেটে দিলাম। এতে ওই কৃষাণী চাচী খুবই খুশি হয়েছেন। যদিও অনেক রোদ ছিলো। তারপরও জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ আমরা পালন করছি, এতেই আমাদের স্বস্তি।