আবারো আর্থিক অনিয়মের দায়ে অভিযুক্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অনুদানের অর্থ দিয়ে কেনাকাটায় গরমিল পেয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা)। পরিপ্রেক্ষিতে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ও দুই অর্থ কর্মকর্তাকে শোকজ করেছে বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা।
বাফুফে কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রেখে অন্য খাতে ব্যবহারের অভিযোগও মিলেছে অনুসন্ধানে।
দেশের ফুটবলে বিতর্ক আর কালো অধ্যায় পিছু ছাড়ছে না। আর্থিক অনিয়মে এবার ফিফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাফুফেকে। সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও সহকারী অর্থ সহকারী অনুপম সরকারকে দেয়া হয়েছে এই নোটিশ।
বাফুফের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়। ফিফার বাৎসরিক অনুদান স্থগিত করার ঘটনা ঘটেছিল গত বছরই। সেই ঘটনার রেশ ধরে বাফুফের ক্রয়-প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ফিফার ক্রয়নীতি বলছে, যেকোনও কিছু কিনতে হলে নিতে হবে অন্তত তিনটি দরপত্র। সর্বনিম্ন দরদাতা পাবে কাজ। বাফুফেও সেটাই করেছে। কিন্তু ক্রয় রশিদসহ বাকি দুই কোটেশনে গরমিল পেয়েছে ফিফার অডিট দল।
পুরো প্রক্রিয়া যাচাই-বাছাই করার জন্য আছে বাফুফের প্রকিউরমেন্ট কমিটি। যার প্রধান আব্দুর রহিম এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
বাফুফের প্রকিউরমেন্ট কমিটির প্রধান আব্দুর রহিমের কথা অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনিও এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি। শুধুই আশ্বাস দিলেন সমস্যা সমাধানের পথে।
অর্থ কমিটির প্রধান হিসেবে একই চিঠি পেয়েছেন সালাম মুর্শেদীও। পদ্ধতি কঠোর করতে প্রকিউরমেন্ট কমিটির পর যোগ হচ্ছে আরও দুটি নতুন কমিটি।