কোচিং বাণিজ্যে জড়িত সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আরও চার কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারা হলেন পিএসসির প্রধান কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন ও মো. শাহাবুদ্দিন, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম এবং রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. মনিরুল ইসলাম। পিএসসি সূত্র বলছে, বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অংশ হিসেবে চার কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে চার কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কোচিং ব্যবসায় যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এর আগে, রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির দুই উপপরিচালক, এক সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেপ্তারদের মধ্য পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত এবং তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশনাও দিয়েছে পিএসসি। গ্রেপ্তাররা হলেন দুই উপপরিচালক আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির, ডেসপ্যাচ রাইডার খলিলুর রহমান এবং অফিস সহকারী সাজেদুল ইসলাম। এ ছাড়া এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পিএসসি।
পিএসসি সূত্র বলছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির কোচিং ব্যবসা জড়িত ছিলেন। ঢাকার মালিবাগের জ্যোতি কমার্শিয়াল কোচিং সেন্টারের পরিচালক আবু জাফর। কোচিং সেন্টারটি তার স্ত্রী জ্যোতির নামে। আর আলমগীর কবিরের কোচিং সেন্টারটি ঢাকার মিরপুরে।
পিএসসি থেকে জানা যায়, চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেওয়া সর্বশেষ কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়া দাপ্তরিক শৃঙ্খলার পরিপন্থি। এমন আচরণের জন্য বিধি অনুযায়ী জড়িতের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে বিষয়ে পত্র প্রাপ্তির সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।