কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতায় নিহত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিউপি) শিক্ষার্থী মুগ্ধর পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে উত্তরার বাসায় যান শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এ সময় মুগ্ধর বাবা ও ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরের পর শিক্ষামন্ত্রী মুগ্ধর বাসায় যান।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সহিংসতায় মোট কত শিক্ষার্থী মারা গেছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পুরো সংখাটা সংগ্রহ করার কাজ এখনও শেষ হয়নি। তাই এখনই বলা যাচ্ছে না। কেউ কেউ মারা গেছেন বলে চাউর হলেও দুদিন পরে তারা ফেসবুক স্টাটাস দিচ্ছেন যে তারা বেঁচে আছেন, যোগ করেন তিনি।
এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খোলা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা সবার উদ্দেশে বলতে চাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। আমরা চাই খুব শিগগিরই আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কলরবে মুখরিত হোক।
গুলিতে মুগ্ধের যখন মৃত্যু হয় তার কিছুক্ষণ আগেও তাকে হাসিমুখে আন্দোলনকারী সহপাঠীদের হাতে পানি তুলে দিতে দেখা যায়। বিক্ষোভ মিছিলের উত্তাল সেই সময়েও তার মুখ থেকে হাসি আড়াল হয়নি। মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, যিনি মুগ্ধর জমজ ভাই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্নিগ্ধ ৩৮ সেকেন্ডের একটা ভিডিও শেয়ার দেন। ভিডিওতে দেখা যায়, মৃত্যুর আগে শেষ মিছিলেও মুগ্ধ আন্দোলনকারীদের হাতে ওয়াটারকেস থেকে পানি তুলে দিচ্ছেন। তাকে বারবার বলতে শোনা যায়, ‘এই, পানি লাগবে পানি।’ এ সময় সবুজ ফিতায় বুকে ঝুলছিল তার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র।