দৈনিক শিক্ষাডটকম, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক রায়হান শরীফ ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনে খাবার খেতেন টেবিলে পিস্তল রেখে। এমনকি, খাবার খেয়ে টাকাও দিতেন না। শিক্ষার্থীকে গুলি করার পর একে একে বেরিয়ে আসছে রায়হান শরীফের নানা অপকর্মের চিত্র। শিক্ষার্থীরা বলছেন, পিস্তল নিয়ে ক্যাম্পাসে আসার বিষয়টি জেনেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি। তবে অধ্যক্ষের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষককে পিস্তল নিয়ে ক্লাসে না যেতে নোটিশ দেয়া হয়েছিল।
শুধু ক্লাস রুমেই নয়, পিস্তল নিয়ে ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনে খেতে বসতেন রায়হান শরীফ। ক্যান্টিনে টেবিলে পিস্তল রেখে অর্ডার দিতেন। এছাড়া যখন তখন এসে বাইরে থেকে বিভিন্ন জিনিস আনতে বলতেন। আর কথা না শুনলেই পিস্তল বের করে তাক করতেন ক্যান্টিনের কর্মচারীদের দিকে। এমনকি খাবার খেয়ে টাকাও দিতেন না তিনি। সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক রায়হান শরীফের নানা অপকর্মের কথা জানান ক্যান্টিনের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম।
শহীদের মুনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ক্যান্টিনের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তার এসব অপকর্ম নিয়ে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না।’
শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্যাম্পাসের বাইরেও সব জায়গায় কোমরে পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন রায়হান শরীফ। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ নভেম্বর কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ শিক্ষার্থীদের পিকনিক ছিল কক্সবাজার। সেদিন পিকনিকে যাওয়ার পথে বাসের মধ্যে হঠাৎ নিজের কোমরে থাকা পিস্তল বের করেন তিনি। পিস্তল বের করে শিক্ষার্থীদের দিকে তাক করে ভয় দেখান। এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আগে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘রায়হান শরীফের পিস্তল নিয়ে ক্লাস রমে আসার বিষয়ে জানান পর তাকে নোটিশ করে সর্তক করা হয়েছিল। তবে তার চলাফেরা ছিল অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়া। তিনি কারও কথা শুনতেন না।’
২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজে কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন রায়হান শরিফ। প্রায়ই শ্রেণিকক্ষে অস্ত্র নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের নানাভাবে ভয় ভীতি দেখাতেন তিনি। গত সোমবার ক্লাস চলাকালীন সময়ে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালের পায়ে গুলি করেন তিনি।