দৈনিকশিক্ষাডটকম ডেস্ক : ক্লাস ঘরের অবস্থা বেহাল। বাধ্য হয়ে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে বারান্দায় খুদে পড়ুয়াদের নিয়ে ক্লাস করাতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকেরা। পশ্চিমবঙ্গের পাত্রসায়র ব্লকের বালসী ২ পঞ্চায়েতের পানপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকেরা। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে ব্লক প্রশাসন।
ওই স্কুলের এক পড়ুয়ার অভিভাবক শেখ রেজাউল করিম বলেন, গত বছর থেকেই স্কুলের বিভিন্ন ক্লাস ঘরের ছাদ, পিলার থেকে সিমেন্টের চাঙড় খসে পড়ছে। ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ঠান্ডায় স্কুলের বারান্দায় ক্লাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। ব্লক, জেলা এমনকি রাজ্য স্তরেও লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি।
আর এক অভিভাবক শেখ শওকত আলি বলেন, ‘এই গ্রামের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও প্রাথমিক স্কুল নেই। এই স্কুলই এলাকার ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার একমাত্র ভরসা। একশোর বেশি ছাত্রছাত্রী ওই স্কুলে পড়ে। দীর্ঘদিন বারান্দাতেই ক্লাস হচ্ছে। সংস্কারের কাজ কবে হবে কে জানে! সূত্র: আনন্দবাজার
শেখ ফটিক, শেখ নজরুলের মতো অভিভাবকেরা বলেন, যা ঠান্ডা পড়েছে, ছোট ছোট শিশুদের বাইরে বসিয়ে ক্লাস করার জন্য পাঠাতে সাহস হচ্ছে না।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আকাশচন্দ্র পোড়েল বলেন, বিপজ্জনক হয়ে পড়া ক্লাসঘরগুলোতে পড়াশোনা বন্ধ আছে। দু’টি বারান্দায় ও একটি ক্লাসঘরে পড়াশোনা চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে।
পাত্রসায়রের বিডিও সুভাষ বিশ্বাস অবশ্য বলেন, ওই স্কুলের সংস্কারের জন্য আনুমানিক ব্যয়ের হিসেব-সহ প্রয়োজনীয় নথিপত্র বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে জেলায় পাঠানো হয়েছে। আশাকরি শীঘ্রই কাজের অনুমোদন চলে আসবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।