খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটানোর ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেঁজুতি জান্নাত এই আদেশ দেন।
গত ২২ মার্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে বিচারক নিজেই বাদী হয়ে ‘মিস মামলা’ করে এই আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মো. জাকারিয়া।
আরো পড়ুন : শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান
মামলা নম্বর- মিস কেস ০১/২০২৩। তাতে শিশু আইন ২০১৩ এর ৭০ ধারার অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে মর্মে সন্দেহের কারণে ‘তদন্ত হওয়া আবশ্যক’ বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন আদালত।
আদেশে বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে মাটিরাঙ্গা থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৩ মার্চ জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার গুমতি বিরেন্দ্র কিশোর (বিকে) উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির কক্ষে ঢুকে অন্তত ১৫ শিক্ষার্থীকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পিটিয়েছেন গোমতি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন।
এ ঘটনায় ১৭ মার্চ সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক শিক্ষাডটকম। এর পর তোলপাড় শুরু হলে বিভিন্নসংবাদ মাধ্যমও এ নিয়ে খবর প্রকাশ করে।
এ ব্যাপারে মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মো. জাকারিয়া বলেন, আদালতের আদেশে তদন্ত কাজ চলছে। বিদ্যালয় পরিদর্শনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
নির্ধারিত সময়ের আগেই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে বলে জানান ওসি।