খুলনা মহানগরীর সন্ধানী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ নেতা শেখ সাকিব ও তার অনুসারীরা। এ সময় ক্লিনিকের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম বাবলুকে পিটিয়ে জখম করা হয়। তার মাথায় ৪টি সেলাই লেগেছে। সোমবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত সাকিব খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য। বাবুখান রোডেই তার বাড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে সাকিবের নেতৃত্বে ৫/৬ জন যুবক ক্লিনিকে প্রবেশ করে ম্যানেজারকে খুঁজতে থাকে। ম্যানেজার বের হয়ে এলে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে এবং হাসপাতালের অবকাঠামো ভাঙচুর করে। সন্ধানী ক্লিনিকের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম বাবলু জানান, কমার্স কলেজে রাজনীতি করার কারণে প্রায়ই ক্লিনিকে চাঁদা দাবি করতো। সামর্থ্য অনুযায়ী সব সময় তাদের দাবি পূরণ করা হতো।
সমপ্রতি তারা হাসপাতালে আসা রোগী স্বজনদের নিজেদের আত্মীয় বানিয়ে কমিশন আদায় শুরু করে। দেখা যেত, কোনো রোগীর বিল হয়েছে ৪ হাজার টাকা।
তাদের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়ে হাসপাতালে এক বা দেড় হাজার টাকা জমা দিতো। বাকি টাকা নিজেরা আত্মসাৎ করতো। বিষয়টি আমরা বুঝতে পেরে এটা বন্ধ করে দেই। এতে বাধা দেয়ায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ছাত্রলীগ নেতা সাকিব ও তার বাহিনী প্রায় ব্যবসায়ীদের কাছ চাঁদা দাবি করে, না পেলে ভাঙচুর ও মারধর করে। বিষয়টি অন্য নেতাদের জানিয়েও তেমন উপকার হয়নি। এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) নিমাই চন্দ্র জানান, ভুক্তভোগীরা এখনও কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে মামলা নেয়া হবে।