সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে মধ্যরাতে হল ছাড়লেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ২ ছাত্রলীগ নেতা। এরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২০১৭-১৮ সেশনের মো. মাজহারুল ইসলাম ও একই অনুষদের ২০১৮-১৯ সেশনের মো. জাহাঙ্গীর আলম।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) মধ্যরাতে তারা একসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে তাদের অবস্থান জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় মো. মাজহারুল ইসলাম ও মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা বিগত দিনে নির্যাতন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ লোপাট, ডাইনিংয়ে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ করতে থাকে। এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তারা এ আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেন।
পাশাপাশি এ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ব্যাচগুলো পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির সহযোগিতায় মো. মাজহারুল ইসলাম ও মো. জাহাঙ্গীর আলমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সামনে এসে দুই জনই তাদের কাজের জন্য ক্ষমা চান।
এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ছাত্রলীগ নেতা মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ আন্দোলনে আমার আপনাদের সঙ্গে থাকা উচিত ছিলো, আমি এতোদিন যা করেছি সব ভুল করেছি। আমাকে সবাই ক্ষমা করে দেন। ভবিষ্যতে আর কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকবো না।
ছাত্রলীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমি বুঝতে পারি নাই, আমি অতীতের কার্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। আমাকে সবাই ক্ষমা করে দেবেন। ভবিষ্যতে আর কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে আমি যুক্ত থাকবো না।
পরবর্তীতে মো. মাজহারুল ইসলাম ও মো. জাহাঙ্গীর আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, হল প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় রাত ৩টায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গত, মো. মাজহারুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মো. জাহাঙ্গীর আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হল-১ এর সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন।