বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে ফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তার পরিবার। গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। পরিবারের পক্ষে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার আবেদনের চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন। বিষয়টি মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন এবিএম সাত্তার। তিনি বলেছেন, ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। ম্যাডামের ছোট ভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি।
আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দেশের বাইরে চিকিৎসা দরকার। তাই স্থায়ী মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
এদিকে আজ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
তবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আইনগত কোনো সুযোগ নেই বলে সূত্র জানিয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মার্চ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেন আদালত। সেই থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন তিনি। পরে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। প্রথমটি হলো- তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি হলো তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।