খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে (খুবি) স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার যাত্রা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, খুব শিগগিরই স্মার্ট কার্ড যুগে প্রবেশ করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এই কার্ডের মাধ্যমে মেডিকেল সেবা, লাইব্রেরি অটোমেশনের সুবিধা পাওয়া যাবে। পরে এর সঙ্গে ই-ওয়ালেটসহ অন্যান্য সুবিধাগুলো যুক্ত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি অটোমেশনের কাজও শেষ হয়েছে। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। এ সবই ডিজিটাইলাইজেশন এবং স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার অংশ।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা স্কুলের নবনির্মিত স্থায়ী মঞ্চ ‘আঙিনা’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে আমাদের সবার চিন্তা-ভাবনা একই। লেখাপড়া ও গবেষণার পাশাপাশি ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চারুকলা স্কুলের এই আঙিনা তৈরি করা হয়েছে। চারুকলা স্কুলের জন্য আলাদা একটি ভবন করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেটি হলে বিদ্যমান সমস্যাগুলো অচিরেই দূর করা সম্ভব হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। শিক্ষা-গবেষণায় যেমন উন্নয়ন হয়েছে তেমনি মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। এই উন্নয়নের সুফল পেতে আমাদের আরও কিছু সময় লাগবে। সম্প্রতি এশিয়ার কিউএস র্যাংকিংয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উঠে এসেছে। এই অগ্রযাত্রার কৃতিত্ব আমাদের সবার।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ও ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. নিহার রঞ্জন সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আঙিনার নকশা প্রণয়নকারী, স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. শেখ সিরাজুল হাকিম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবু কালাম শামসুদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের ডিন, চারুকলা স্কুলভুক্ত ডিসিপ্লিনগুলোর প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।