খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। বুধবার বিকেলে সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্মাষ্টমীর কর্মসূচি উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন।
খুবি মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, জন্মাষ্টমী হলো শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি। শ্রীকৃষ্ণের আর্বিভাবের উদ্দেশ মর্ত্য থেকে অশুভ শক্তির বিনাশ এবং পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। পৃথিবীতে যেখানেই অন্যায় হয়েছে সেখানেই ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রীকৃষ্ণ অবতার পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে যতো ধর্ম এসেছে প্রতিটি ধর্মেই একই অন্তর্নিহিত কথা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপকর অমিত রায় চৌধুরী বলেন, প্রত্যেকটি ধর্মেরই মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা। ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করতে গেলে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।
মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপক চন্দ্র মন্ডলের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজল।
অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্দির প্রাঙ্গন থেকে শুরু করে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের পাশ দিয়ে ক্যাফেটেরিয়া ও অদম্য বাংলা হয়ে হাদী চত্বর ঘুরে পুনরায় মন্দির প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এছাড়া আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয় মন্দিরে পূজা আরম্ভ ও বিকাল সাড়ে পাঁটায় ভজন ও সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে।