বছরে বেতন মিলবে কোটি টাকা। কাজ হলো গাঁজায় টান দেওয়া। এ ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়ে আলোচনার নতুন খোরাক জুুগিয়েছে জার্মানির এক ওষুধ কোম্পানি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তারা কর্মী নিয়োগ করবে। গাঁজার ‘টেস্টার’ হিসেবে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ গাঁজায় টান দিতে হবে, গন্ধ শুঁকতে হবে এবং অনুভব করতে হবে। গাঁজার গুণমান বোঝার জন্যই কর্মী নিয়োগ করবে তারা। এ জন্য বছরে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে প্রায় এক কোটি টাকা।
একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে ওই ওষুধ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডেভিড হেন জানান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, পর্তুগাল, ম্যাসিডোনিয়া, ডেনমার্কের মতো দেশ, যেখানে তারা গাঁজা পাঠান, তার গুণমান নিয়ে যাতে কোনো প্রশ্ন না ওঠে, তার জন্যই কর্মী নিয়োগের কথা ভাবা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘জার্মানিতে ওষুধে গাঁজা ব্যবহৃত হয়। তার গুণমান দেখার জন্যও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
তবে এই কাজ পাওয়ার শর্ত আছে। শুধু পারিশ্রমিক ভালো বলে যে কেউ এই কাজের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে না। জার্মানির ওই কোম্পানি জানিয়েছে, আগ্রহী প্রার্থীকে অবশ্যই গাঁজায় আসক্ত হতে হবে। থাকতে হবে গাঁজা খাওয়ার সনদও।
জার্মানির মতো বেশ কয়েকটি দেশে গাঁজা সেবন নিষিদ্ধ নয়। পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশেও গাঁজা আর নিষিদ্ধ মাদক নয়।
জার্মানির একটি সমীক্ষা বলছে, সে দেশের ৪০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ গাঁজা সেবন করেন। কিছু দিন আগে গাঁজা নিয়ে একটি মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাখ। তার প্রস্তাব ছিল, দেশের যে কোনো প্রাপ্তবয়স্কের কাছে ৩৫ গ্রাম পর্যন্ত গাঁজা থাকতে পারে। এ ছাড়া প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে গাঁজা দেওয়া-নেওয়া কিংবা বিক্রিবাট্টাও হতে পারে। ইউরোপের দেশ মালটায় গাঁজা নিয়ে এ ধরনের শিথিলতা রয়েছে।
জার্মানির মতো যুক্তরাষ্ট্রের একটি ওষুধ কোম্পানি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে একই রকম বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। প্রতিদিন গাঁজা টানার জন্য ‘দক্ষ’ ব্যক্তিকে মাসে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তারা।