গাজার খান ইউনিস, রাফাহ ও দেইর এল-বালাহয় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৭০ এর বেশি বাসিন্দার প্রাণ গেছে। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। গেল ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাস হলো একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী, যা গাজা শাসন করে।
সংঘাত শুরুর পর থেকে দুই পক্ষের বহু লোক হতাহত হয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ২৮শর বেশি লোকের প্রাণ গেছে। আর ইসরায়েলে ১৪শর বেশি লোকের প্রাণ গেছে।
আল জাজিরার সাফওয়াত কাহলুত গাজা থেকে জানান, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় অনেকের প্রাণ গেছে, যারা গাজা সিটি ছেড়ে যাচ্ছিলেন। ইসরায়েল গাজা সিটির বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
তিনি বলেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে ইতোমধ্যে উপচে পড়া ভিড়। আমাদের বলা হয়েছে যে, অনেক লোক এখনও ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপে আটকে আছে উদ্ধারের অপেক্ষায়।
খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের সামনে থেকে ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিসের এক কর্মী এক হাতে শিশুর মরদেহ নিয়ে আল জাজিরাকে বলেন, ইসরায়েল শিশুদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
আরেক ব্যক্তি আল জাজিরাকে বলেন, তার প্রতিবেশীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে রয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। ভোরের আগে নামাজের জন্য উঠেছিলাম। এর মধ্যেই আমাদের বাড়ির মধ্যেই ৪০ জন আঘাতপ্রাপ্ত হন। বৃদ্ধ, তরুণরাও আঘাত পান।
তিনি বলেন, হঠাৎ পুরো পাড়া ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। আমি সেই ঘটনার সাক্ষী। আমি যে দৃশ্যগুলো দেখেছি তা বর্ণনাতীত, আমার চারপাশে লাশ পড়ে ছিল।
যাই হোক, ইসরায়েল স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। আল জাজিরার সংবাদদাতা তেরেসা বো ইসরায়েল থেকে জানিয়েছেন, সৈন্যরা গাজা সীমান্তবেষ্টনীর দিকে যাচ্ছেই। তিনি বলেন, আমরা সমরযান, ট্যাংক ও সৈন্য দেখেছিল। তারা প্রিসিশন গাইডেড যুদ্ধাস্ত্রবাহী নৌযানও ব্যবহার করছে।