গাজার মধ্যাঞ্চলের একটি স্কুলে বিমান হামলার বিষয়ে ইসরায়েলকে পুরোপুরি স্বচ্ছ থাকতে বলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্কুলটি ছিল বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় শিবির।
বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে হামলায় ৩৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সাংবাদিকরা বিবিসিকে বলেন, একটি যুদ্ধবিমান নুসেইরাত শহরের শরণার্থী শিবির স্থাপন করা ওই স্কুলের উপরের তলায় দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, স্কুলের ওই ভবনে হামাসের আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে হামাস-শাসিত সরকারের মিডিয়া অফিস এ দাবি অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে প্রকাশ্যে হামাস যোদ্ধাদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েল প্রায়শই বিমান হামলায় নিহত হামাস সদস্যদের চিহ্নিত করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এমন আহ্বান বিরল ঘটনা।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার বলেন, ইসরায়েল আমাদের বলেছে, তারা হামাসের ২০-৩০ জন সদস্য লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। এর মধ্যে নিহতদের নাম তারা প্রকাশ করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা যা বলেছে, দেবে। আমরা আশা করি, তারা তা করবে, সেইসঙ্গে অন্যান্য তথ্যও তারা জানাবে, যা ঘটনার বিষয়টি স্পষ্ট করবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি হামাস ও ইসলামিক জিহাদের ৯ যোদ্ধার নাম প্রকাশ করেন, যারা ওই হামলায় নিহত হন। তিনি বলেন, তথ্য যাচাইয়ের পর আরও শনাক্ত করা যাবে।
ওয়াশিংটনে মিলার বলেন, ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ১৪ শিশুর প্রাণহানির তথ্য পেয়েছে। এটি যদি সত্য হলে, তারা তো সন্ত্রাসী ছিল না।