দেশে উচ্চশিক্ষায় অবদান রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বিশেষ করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও কম খরচে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারছেন। দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ধারা অব্যাহত রেখে পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্তশাসিত, বাকিগুলো সরকারি। মূলত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
২০২০-২১ সেশনের গল্প না শুনে আমরা ২১-২২ সেশনের সমীকরণ মিলিয়ে দেখি গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট আছে কিনা? কারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন এ সেশনজটের? ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ঢাবি, রাবি, চবি, বিইউপিসহ গুচ্ছের বাইরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস-পরীক্ষা চলমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা রাজধানীর সরকারি সাত কলেজেও ক্লাস চলছে। ইনকোর্স পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়ে গেছে। আগামী মে মাসেই সাত কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষা হবে। পিছিয়ে নেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। সেখানেও নিয়মিত চলছে ক্লাস। কিন্তু গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনও তাদের মেধা তালিকা প্রস্তুত নিয়ে ব্যস্ত। শিক্ষার্থী না পেয়ে তাদের বারবার মেধা তালিকা তৈরি করতে হচ্ছে। গত বছর এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছিল যে, গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েও শিক্ষার্থী পায়নি জবির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তা ছাড়া অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার বাইরে অবস্থিত হওয়ায় কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা থেকে নিয়ন্ত্রণ করাও সেশনজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নতুন হওয়ায় অবকাঠামোগত অবস্থা ভালো না। শুধু অবকাঠামোই নয়, নানা সংকট বিরাজমান গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে একটি মাত্র পথই রয়েছে। সেটি হলো, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সমন্বিত পরীক্ষা না নিয়ে আগের মতো নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া।
ঢাকা