সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, টাকার বিনিয়মে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে গত সোমবার সন্ধ্যায় রুদ্ধদ্বার নিয়োগ বোর্ড বসান প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ফজলুর রহমান মোশা। পরে স্থানীয়রা ঘুষের অভিযোগ তুলে সেখানে জরো হলে সটকে পড়েন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় শহরে নবারুণ বালিকা বিদ্যালয়ের গেটে তালা দিয়ে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান ও সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহর উপস্থিতিতে নিয়োগ বোর্ড বসান সভাপতি। ১০ লাখ টাকা ঘুষের বিনিয়মে পাতানো নিয়োগ দিতেই সন্ধ্যায় বোর্ড বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা ওই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। স্থানীয়দের উপস্থিতি দেখে নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তারা পালিয়ে যান। বন্ধ হয়ে যায় পরীক্ষা।
সন্ধ্যায় অন্য একটি স্কুলের গেটে তালা দিয়ে কোনো নিয়োগ বোর্ড বসানো হলো এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি নিয়োগ কমিটির সদস্য ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান এবং ডিজির প্রতিনিধি সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ। তারা একই সুরে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমরা চিঠি পেয়ে এসেছি। তবে, রাতেগেটে তালা দিয়ে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হলেও তারা নিবর থাকেন।
এদিকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্যও করতে চাননি ঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসানুর রহমান। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি কিছু জানি না। সবকিছু সভাপতি করছেন।
ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি ফজলুর রহমান মোশার টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে এমনটি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে ১২ জন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন।