পরিবেশ দূষণ কমাতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ‘গ্রিন ইলেকশন’-এর কথা ভাবা হয়। যদিও এ নির্বাচনে ‘গ্রিন ইলেকশন’-এর ধারণা সর্বতোভাবে পালন করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ভাবনার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন ঢাকা-৯ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি তার আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় ‘গ্রিন ইলেকশন’ থিমকে কাজে লাগিয়েছেন।
ব্যতিক্রমী প্রচারণা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত এবং একাদশ জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, আমরা সশরীরে ও অনলাইন প্রচারে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ হিসেবে অনলাইনে প্রচারণাকে খুব ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে তরুণ প্রজন্ম। পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে পলিথিন-প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ এবং মাইকের ব্যবহার কমিয়ে আনলে পরিবেশ ও শব্দদূষণ অনেকটাই কমানো সম্ভব। আমরা তা প্রমাণ করেছি।
ঢাকা-৯ আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিবেশ বান্ধব ‘গ্রিন ইলেকশন’ কর্মকাণ্ড চোখে পড়েছে। এলাকার সাধারণ নাগরিকরাও বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা মো. আবদুর রবজানান, প্রতিবার নির্বাচনে মাইকের শব্দে বিরক্ত হতে হয়েছে। অনেক সময় বাসার অসুস্থ রোগী এসব শব্দে আরো বেশি অসুস্থ হয়েছেন। কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলা যেত না। এবার নির্বাচনী প্রচারণা চললেও মাইকের প্রকট শব্দে বিরক্ত হতে হচ্ছে না। এমনকি অন্যান্যবার বিভিন্ন পোস্টার ছিঁড়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এবার তা থেকেও রেহাই পেয়েছি। প্রথমে কয়েকদিন বিভিন্ন এলাকায় পলিথিন দিয়ে পোস্টার, প্লাস্টিক দিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন আটকে রাখতে দেখা গেলেও পরে তা সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রায় একই কথা বলেন খিলগাঁও তালতলা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা সুমন শরীফ। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় পরিবেশ রক্ষার দিকে মনোযোগ দেয়া হয়েছে।
মাইকের শব্দ খুবই কম শোনা যায়। আমাদের এলাকার প্রায় সব বাসাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোটার স্লিপ দিয়েছেন। একাধিকবার এসে ভোট চাচ্ছেন। আমাদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান রাখছেন। ভোট ক্যাম্পগুলোতে অযথা মাইক বাজিয়ে ভোটারদের বিরক্ত করা হচ্ছে না।এর আগে গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘গ্রিন ইলেকশন’-এর আওতায় আনার চিন্তা করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। এই চিন্তার সঙ্গে ঐকমত পোষণ করে মন্ত্রণালয়ও।