কুমিল্লা সার্কিট হাউজে অবস্থানকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মদ পানের অভিযোগ উঠেছে। গত ৪ মার্চ (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কয়েকজন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছে কুমিল্লা সার্কিট হাউজ কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন পরিচালনার জন্য ১৬ জন কর্মকর্তা কুমিল্লা সার্কিট হাউজের ছয়টি কক্ষে অবস্থান করেন। তার মধ্য থেকে একটি রুমে মদের বোতল ও প্রচন্ড গন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্মকর্তাদের সম্মান রক্ষার্থে কোন রুম থেকে মদের বোতল পাওয়া গেছে সেটি জানায়নি সার্কিট হাউজ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি ঢাবি প্রশাসনকে জানানোর পর লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে বলে সার্কিট হাউজ সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নির্বাহী মেজিস্ট্রেট ও কুমিল্লার এনডিসি কানিজ ফাতেমা বলেন, মাদকের বিষয়টি আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি লিখিত অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
রেজিস্ট্রার অফিসের তথ্যমতে, ওই দিন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে সার্কিট হাউজে অবস্থান করেছিলেন, রেজিস্ট্রার অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার বিপুল কুমার সাহা, জীববিজ্ঞান অনুষদের সিনিয়র সহকারী রেজিস্ট্রার মো. বেলাল উদ্দিন, রোকেয়া হল অফিসের সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, এস্টেট অফিসের সেকশন অফিসার মো. সেলিম রেজা, রেজিস্টার অফিসের অফিস সহায়ক আনোয়ার হোসেন, রেজিস্টার অফিসের অফিস সহায়ক ইন্দ্রজীত, বিজয় একাত্তর হলের স্বাস্থ্য সেবক মো. রাজু আহমেদ, সেকশন অফিসার এম এ শাহিন, আইন উপদেষ্টার আফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আ. হামিদ হালদার, প্রধান প্রকৌশলীর অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ খালেদুর রহমান, আইইআরের অফিস সহায়ক শাহাদাত হোসেন, রেজিস্ট্রার অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সোলাইমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সহকারী রেজিস্ট্রার লোকমান হাকিম, হিসাব পরিচালক অফিসের সরকারী হিসাব পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম হোসেন, সিনিয়র এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার শওকত ওসমান খানশুর এবং টেকনিক্যাল অফিসার আরেফিন শাহীন।
তবে মদ পানের বিষয়টি অস্বীকার করেন দায়িত্বে থাকা ঢাবির কর্মকর্তারা। কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এরকম কোনো কিছু ঘটেনি। অভিযোগটি মিথ্যা। এ সময় তারা দায়িত্বে থাকা নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
এ নিয়ে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রেজিস্ট্রার অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার বিপুল কুমার সাহা বলেন, আমি কিছুই জানি না এ ব্যাপারে। আমার জানামতে এরম কিছু ঘটেনি। এ বিষয়ে কেউ আমার কাছে অভিযোগও করেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার মদ্যপানের অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওই জায়গা থেকে কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।