ঘাস ভেবে গাঁ*জা খেয়ে টালমাটাল ভেড়ার পাল - দৈনিকশিক্ষা

ঘাস ভেবে গাঁ*জা খেয়ে টালমাটাল ভেড়ার পাল

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

চলতি গ্রীষ্মে গ্রিসে প্রচণ্ড দাবদাহ, দাবানল ও প্রবল বন্যা আঘাত হেনেছে। এতে অনেক এলাকায় কৃষিজমি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। বেঁচে থাকা গবাদিপশু যে ঘাস খাবে, তারও খুব বেশি অবশিষ্ট নেই।

এ অবস্থায় ঘাসের সন্ধানে খেত চষে বেড়াচ্ছে গবাদিপশু। একটি ভেড়ার পাল তাজা ঘাস খুঁজতে খুঁজতে গিয়ে পড়ে গাঁজাখেতে। আর না বুঝেই তারা খেত থেকে গাজার বিরাট অংশ খেয়ে ফেলে। এরপর শুরু হয় তাদের অদ্ভুত আচরণ। সেই গাঁজাগুলো গ্রিনহাউসের ভেতরে ওষুধ হিসেবে চাষ করা হয়েছিল।

গাঁজাখেতের মালিক বলেন, ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাত ও দাবদাহের কারণে তাঁর খেতের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আর ‘যতটুকু বেঁচে ছিল’ তা ভেড়ার দল শেষ করে দিয়েছে।

দ্য নিউজপেপার ডট জিআর ওয়েবসাইটের খবরে বলা হয়, মধ্য গ্রিসের থেসালিতে বন্যার পানিতে প্লাবিত এলাকায় ভেড়ার পাল চষে বেড়াচ্ছিল। এরপর এগুলো অলমিরোস শহরের কাছে গ্রিনহাউসে ঢুকে পড়ে। ভেড়ার দল ১০০ কেজি গাঁজা খেয়ে ফেলে।

গাজাখেতের মালিক ওয়েবসাইটকে বলেন, ‘আমি আসলেই জানি না, হাসব নাকি কাঁদব। দাবদাহের কারণে অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে। এরপর বন্যায় প্রায় সবকিছু হারিয়েছি।’

খেতের মালিক বলেন, ‘এখন ভেড়ার পাল গ্রিনহাউসে ঢুকে বাকি যা কিছু ছিল, সেটুকুও খেয়ে নিয়েছে। সত্যি, আমি জানি না কী বলা উচিত।’

একজন মেষপালক ভেড়ার পালের অদ্ভুত আচরণ লক্ষ করেন। কিন্তু বুঝতে পারছিলেন না, কেন ভেড়ার দল এমন আচরণ করছিল।

কর্মকর্তারা বলেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে থেসালির ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। এতে বিভিন্ন শহর ও গ্রাম তলিয়ে গেছে। মারা গেছে এক লাখের বেশি প্রাণী ও গবাদিপশু।

বন্যাদুর্গত হাজারো বাসিন্দাকে লাইফবোট ও হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আর মাঠের ফসল ভেসে গেছে।

১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দের পর দেশটিতে এমন প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ঘটনা এটাই প্রথম। গ্রীষ্মের ভয়াবহ দাবানলের পর এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাঁর দেশ উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আরও ত্রাণ চালু করতে যাচ্ছেন তাঁরা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত - dainik shiksha প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি - dainik shiksha আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির - dainik shiksha আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি - dainik shiksha পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান - dainik shiksha ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল - dainik shiksha বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003748893737793