ঘানাকে ২-০ গোলে হারিয়েও শেষ ষোলোর টিকিট পায়নি উরুগুয়ে। ম্যাচে পেনাল্টির আবেদন জানিয়ে হলুদ কার্র্ড দেখেন দলটির একাধিক খেলোয়াড়। পেনাল্টি পেলে দ্বিতীয় ধাপে যেতেও পারতো উরুগুয়ে। যেকারণে ড্রেসিংরুমে প্রবেশের সময় মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এডিসন কাভানি। ঘুষি মেরে ভিএআর মনিটর ফেলে দেন তিনি। শুক্রবার রাতে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দেয় দক্ষিণ কোরিয়া।
যেকারণে ঘানার বিপক্ষে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও ‘এইচ’ গ্রুপের রানার্সআপ হতে আরেকটি গোল প্রয়োজন ছিল উরুগুয়ের। শেষ মুহূর্তে ডি-বক্সে এডিনসন কাভানিকে ফেলে দেন আলিদু সেইদু। ঘানাইয়ান ডিফেন্ডারকে হলুদ কার্ড দেখালেও পেনাল্টি দেননি জার্মান ম্যাচ রেফারি ড্যানিয়েল সেইবার্ট। তার আগে নুনো মেন্দেজকে ফেলে দিয়েছিলেন ঘানার আরেক ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল অ্যামের্টি।
দু’টি সিদ্ধান্ত বিপক্ষে যাওয়ায় রেফারির ওপর চটে যান উরুগুয়ের ফুটবলাররা।
জড়ো হয়ে রেফারিকে ভিএআর দেখার আবেদন জানান তারা। তবে উরুগুইয়ানদের কথায় কর্নপাত করেননি রেফারি সেইবার্ট। উল্টো কাভানি ও হোসে মারিয়া গিমেনেজকে হলুদ কার্ড দেখান। সিদ্ধান্ত অনুকূলে না আসায় ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে ভিএআরের মনিটরে ঘুষি মারেন কাভানি। টুইটারে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে ড্রেসিংরুমে ঢুকছেন উরুগুয়ের খেলোয়াড়রা।
ভিএআর মনিটর অতিক্রম করার সময় তাতে সজোরে আঘাত করেন কাভানি। উরুগুইয়ান তারকার ঘুষিতে মনিটরটি মাটিতে পড়ে যায়। সেই ভিডিও মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, ‘ভিএআর কী দোষ করেছে?’ তার রিপ্লাইয়ে একজন লিখেছেন, ‘রেফারি কী করলো সেটা দেখলেন না?’ সার্জিও বুসকেটস নামের এক অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ‘আমি হলে লাথি মেরে দিতাম।’ এক অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ‘ওর কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়!’ তার রিপ্লাইয়ে আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনি যদি ৪ বছর পর পর ফুটবল দেখা লোক হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার মন্তব্য করার কোনো প্রয়োজন নেই।’