ঘুষের টাকা না দেয়ায় এমপিওর আবেদন করা হলো না শিক্ষকের - দৈনিকশিক্ষা

ঘুষের টাকা না দেয়ায় এমপিওর আবেদন করা হলো না শিক্ষকের

পিরোজপুর প্রতিনিধি |

চাহিদামতো ঘুষের টাকা না দেয়ায় শিক্ষকের এমপিও আবেদন পাঠাননি বলে অভিযোগ উঠেছে জেলার ইন্দুরকানীর এক মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে।  

অভিযুক্তের নাম আলী হায়দার খান।

তিনি উত্তর কলারন দাখিল মাদরাসা সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগকারী হলেন ওই মাদরাসার সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট আবুল কালাম। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর মাদরাসায় সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট পদে যোগ দেন আবুল কালাম। এমপিওভুক্ত করতে মাদরাসা সুপার আলী হায়দার খান ওই শিক্ষকের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সেপ্টেম্বর মাসে এমপিও আবেদন করার কথা থাকলেও সুপার এমপিওর আবেদন করেননি। আবুল কালাম প্রথমে সুপারকে ২০ হাজার টাকা দেন।

এমপিও সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আবুল কালামকে না দিয়ে সুপার বলেন, তিনি এমপিও আবেদন করে দেবেন এবং অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ সুপার আবুল কালামকে জানান যে তার এমপিও আবেদন করা হয়েছে। কয়েকদিন পর এমপিও কোন অবস্থায় আছে জানতে চাইলে সুপার জানান যে তার এমপিও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর রিজেক্ট করেছে। কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবুল কালামের আদৌ এমপিওর কোনো আবেদন করা হয়নি। পরে মাদরাসা সভাপতির জেরার মুখে সুপার এমপিও আবেদন করেননি বলে স্বীকার করেন।  

ভুক্তভোগী শিক্ষক আবুল কালাম বলেন, এমপিও করার জন্য সুপার আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছেন। সুপারকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। পুরো টাকা না দেয়ার কারণে তিনি গত দুই মাস ঘুরিয়েও আমার এমপিও আবেদন করেননি।

অভিযোগের বিষয়ে মাদরাসা সুপার আলী হায়দার বলেন, ওই  শিক্ষকের বিলের জন্য এমপিও কাগজ পাঠাতে হয় মাসের ৫ তারিখের মধ্যে। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের একটি কম থাকায় সমস্যা হয়েছে। বিল এমপিওর কাগজ পাঠানোর সময় ওই শিক্ষক আমার সঙ্গেই ছিলেন। তার কাছে কোন টাকা চাওয়া হয়নি বা  বিল পাঠানোর কথা বলে তার কাছ থেকে  কোন টাকা নেয়া হয়নি।   

ওই মাদরাসার সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামে বলেন, এমপিও আবেদনের শেষ সময়ে কাগজ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু শেষ সময়ে নেট বিজি (ব্যস্ত) থাকায় আবেদন গ্রহণ করেনি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট। টাকা চাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি (সভাপতি) ওই শিক্ষককে বলেছি টাকা বিষয়ক কোনো সমস্যা হলে আমি সভাপতি হিসেবে দেখব।  

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অলি আহাদ বলেন,  এ ব্যাপারে এখনো আমাকে কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে এমন খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট মাদরাসা সুপারকে ফোন করেছি। অভিযোগকারী শিক্ষককে নিয়ে তাকে (সুপার) আসতে বলা হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেয়া হবে : কাদের - dainik shiksha সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেয়া হবে : কাদের সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই: ঢাবি উপাচার্য - dainik shiksha সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই: ঢাবি উপাচার্য যারা নিজেদের রাজাকার বলেছে তাদের শেষ দেখে ছাড়বো - dainik shiksha যারা নিজেদের রাজাকার বলেছে তাদের শেষ দেখে ছাড়বো সায়েন্সল্যাবে কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ - dainik shiksha সায়েন্সল্যাবে কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে - dainik shiksha র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032479763031006