ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সাতক্ষীরার আশাশুনির বৈকরঝুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের টিনের ছাউনি উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে গাছতলায় ক্লাস করতে হচ্ছে তৃতীয় শ্রেণির ৬১ জন শিক্ষার্থীকে। তীব্র রোদে গরমে ও বৃষ্টিতে অনেক সময় ক্লাস বন্ধ রাখা হয়। তবে বেশিভাগ সময় এভাবে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান চলে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আশাশুনি উপজেলার বৈকরঝুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, পড়ালেখায় এগিয়ে থাকলেও কক্ষ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে ওই স্কুলের পাঠদান। তার ওপর ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে স্কুলের একটি ক্লাসরুমের টিনশেড উড়ে গেছে। এতে ক্লাস বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তবে ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ৬১ ছাত্র-ছাত্রীকে বাধ্য হয়ে মাঠে খোলা আকাশের নিচে গাছতলায় ক্লাস করতে হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ঝড়ে টিন উড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হচ্ছে। গরমে কষ্ট হয়; আবার বৃষ্টি হলে ভিজতে হয়।
এ বিষয়ে স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা রোজিনা খাতুন জানান, কক্ষ সংকটের কারণে দুই শিফটে ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সেজন্য দ্রুত ভবনের কাজ শুরুর দাবি জানান তিনি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাকিলা খানম জানান, স্কুলে একটি নতুন ভবন অনুমোদন হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ভবন নির্মাণের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ নিয়ে শিক্ষক, পরিচালনা কমিটি, অভিভাবকরা উৎকণ্ঠায় থাকেন।
অভিভাবকদের দাবি, বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন নির্মাণের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। পাশাপাশি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের টিনশেড সংস্কারের দাবি জানান তারা। তা না হলে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরাও জীবনের ঝুঁকিতে পড়বেন।
এ ব্যাপারে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহজাহান আলী জানান, টিনশেড উড়ে যাওয়ায় মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে সংস্কার করে পাঠদানের উপযোগী করা হবে।
আশাশুনির বৈকরঝুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩৫০ জন।