দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির এক মাস পর চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে পৌঁছেছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনালে পৌঁছান তারা।
এর আগে, বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ থেকে নেমে নাবিকরা এমভি জাহান মণি-৩ লাইটার জাহাজে ওঠেন। সেখান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনালে পৌঁছান তারা।
এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিককে নিয়ে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। এ ঘটনায় ঈদের আনন্দ ফেরে ২৩ নাবিকের ঘরে।
‘ঈদ শেষ হয়েছে অনেক আগে। কিন্তু এবারের ঈদ বিষাদময় ছিল আমাদের কাছে। স্বামী জলদস্যুদের হাতে জিন্মি থাকলে ঈদের আনন্দ তো আর থাকে না মনে। আমাদের ঘরে ঈদ হবে মঙ্গলবার। আমরা তাই সেমাই রেঁধেছি। নতুন কাপড় পড়বো। রেঁধেছি গরুর মাংসের কালো ভুনা। পুঁটি মাছের ফ্রাইও করেছি। এসব খুব পছন্দ করে আতিকুল্লাহ’- স্বামী আতিকুল্লাহকে বরণ করতে এমন পরিকল্পনার কথা গড় গড় করে বললেন তার স্ত্রী মিনা আজমিন।
এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের ছোট ভাই আবদুর নূর খান আসিফ বলেন, ‘আমার বড় ভাই আর আমরা যে কতটা খুশি, তা ভাষায় বোঝাতে পারব না।’
গত ১২ মার্চ জাহাজটি ২৩ নাবিকসহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ৩২ দিন জিম্মি থাকার পর মুক্তিপণ নিয়ে ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় তারা। এরপর আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে জাহাজটি আরেকটি বন্দরে নতুন পণ্য বোঝাই করে। সেখান থেকে রওনা দেওয়ার পর গত শনিবার জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় আসে।
এর আগে একই মালিক গ্রুপের এমভি জাহান মনিকে নাবিকসহ ২০১০ সালে জিম্মি করেছিল জলদস্যুরা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।