শ্রেণি কার্যক্রমে উপস্থিতির হার কম থাকার কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছয় শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, চারুকলা স্থানান্তর আন্দোলনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এর প্রতিবাদে ফটকে তালা ঝুলিয়ে ক্যাম্পাস অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বাদশাহ মিয়া রোডসংলগ্ন চারুকলা ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের উপস্থিতিতে তালা খুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি গতকালের পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেখানে ছয়জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, চারুকলা স্থানান্তর আন্দোলনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, কম উপস্থিতির কারণ দেখিয়ে তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া তাঁদের দাবি অনুযায়ী ক্যানটিন চালু ও ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে শিক্ষক ক্লাব অপসারণ করা হয়নি। এই তিন দফা দাবি আদায়ের জন্য তাঁরা ফটকে তালা দেন।
এ বিষয়ে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুর ইকবাল সানি বলেন, ‘আমরা যারা চারুকলা স্থানান্তর আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলাম, শিক্ষকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক করেছিলাম, তাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। সেই আন্দোলনের জেরে আমাদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমাদের কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে—উপস্থিতির হার কম, কিন্তু সেটি হওয়ার কথা নয়; এ জন্য আমরা তালা দিয়েছিলাম।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সুফিয়া বেগমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘কিছু ছেলে পরীক্ষা দিতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ফটকে তালা দিয়েছিল। (গতকাল) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছয় শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদে ফটকে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বাদশাহ মিয়া রোডসংলগ্ন চারুকলা ক্যাম্পাসে।