চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। পরে সত্যতা যাচাইয়ে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছাত্রীদের অভিযোগ পাওয়ার ও কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই বিভাগের সভাপতি।
গত বুধবার বিজ্ঞান অনুষদের এক ছাত্রী বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার লিখিত অভিযোগ দেন উপাচার্যের কাছে। ওই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি অভিযোগটি যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র বলেছে, এক ছাত্রী বৃহস্পতিবার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ দেন বিভাগের সভাপতির কাছে। সেখানে বলা হয়, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের কারণে তাঁকে বহিষ্কার করার পর কারণ দর্শাতে এক শিক্ষক তাঁর কক্ষে একা যেতে বলেন। চেয়ারে বসার পর পেছন থেকে শিক্ষক আসায় তিনি চমকে ওঠেন। ভয়ে কক্ষ থেকে কান্নাকাটি করে বের হওয়ার চেষ্টা করে দরজা লক দেখেন। ওই শিক্ষক তাঁকে কান্না থামানোর জন্য কিছুক্ষণ বসে থাকার অনুরোধ করেন। পরে ছাত্রীটি কোনোমতে স্বাভাবিক হয়ে কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
এই অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সূত্র আরও জানায়, একই বিভাগের মাস্টার্স পর্যন্ত সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের পক্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরে বিভাগের আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে রাতে মোবাইলে কল করে বিরক্ত করা, ফেসবুক পোস্টে বাজে মন্তব্য করা এবং বিভাগে কাউকে একা পেলে অশালীন কথাবার্তা বলা।
জানতে চাইলে ওই শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার ছেলেমেয়ের মতো। অনেক সময় ফেসবুকে ফান করে কমেন্ট করেছি। হয়তো কমেন্ট তাঁদের মনঃপূত হয়নি। এ ছাড়া অন্য কিছু নয়।’
ওই বিভাগের সভাপতি বলেন, তিনজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, যাতে এর পুনরাবৃত্তি না হয়।