চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্যের বাসভবন ও বাসে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মামলা দায়ের করা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সাতজন করে ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের নাম আগামীকাল রোববার জানা যাবে।
মামলা বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদারের মোবাইলে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেনের ছাদে হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ১৭ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর পর শিক্ষার্থীরা ঘটনার প্রতিবাদে ফটক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালাতে দেখা যায়। পরবর্তীতে একজনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যান।
একপর্যায়ে তারা উপাচার্যের তিনতলা বাসভবনে ভাঙচুর শুরু করেন। ফুলের টব থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাব, কক্ষ, জানালায় ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা। এ সময় আসবাব বের করে বাসভবনের উঠানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করার পরপরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পরিবহন দপ্তরে মিছিল নিয়ে যান। পরে সেখানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য রাখা অন্তত ৭০টি বাস ভাঙচুর করেন। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ক্লাবের কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন। এরপর শাটল ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে শুক্রবার বিকেলে উপাচার্যের দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনায় তিনটি পৃথক মামলা করা হবে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তবে সংবাদ সম্মেলনের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর দুইটি মামলা দায়ের করা হলো।