চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের দুটি সংগঠন।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রক্টরকে স্বাগত বক্তা হিসেবে রাখা, প্রশাসনিক পদে নেই এমন একজনকে অনুষ্ঠানের সভাপতি করা এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কাদের সম্মাননা দেয়া হচ্ছে এই বিষয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা না করায় অনুষ্ঠান বর্জন করে চবি শিক্ষক সমিতি। অন্যদিকে অনুষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্বে রেজিস্ট্রারকে না রাখায় চবি অফিসার সমিতি অনুষ্ঠান বর্জন করে।
আলোচনা সভা বয়কটের বিষয়ে চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘আলোচনা অনুষ্ঠানে এমন একজন ব্যক্তিকে (প্রক্টর) স্বাগত বক্তা হিসেবে রাখা হয়েছে, যার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ড ও জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেয়া হবে— এরকম একটি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন একজন স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা লোক। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’
ড. মুস্তাফিজুর আরও বলেন, ‘অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে আইকিউএসির পরিচালকে রাখা হয়েছে, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কোনো পদে নেই। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কাদের সম্মাননা দেয়া হচ্ছে, সে বিষয়েও কারো সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না, অনেক ডিনও জানেন না বলে জানিয়েছেন। তবে আমরা সংগঠন থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি।’
অন্যদিকে চবি অফিসার সমিতির সভাপতি রশীদুল হায়দার জাবেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানগুলো পরিচালনা বা সভাপতিত্ব করে থাকেন রেজিস্ট্রার। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পরিচালনা বা সভাপতিত্ব কোনটিতেই রেজিস্ট্রারকে রাখা হয়নি। রেজিস্ট্রার আমাদের অভিভাবক। ওনাকে অসম্মান করা মানে আমাদেরও অসম্মান করা। এছাড়া অন্যান্যবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অফিসার সমিতিসহ অন্যান্য কর্মচারী সমিতির সভাপতিদের জন্য মঞ্চে আসন রাখা হয়। এবার এটাও করা হয়নি। সব মিলিয়ে আমরা মনে করেছি যে অনুষ্ঠানে আমাদের মূল্যায়ন নেই, সেখানে না যাওয়াই ভালো।’