চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটের শিক্ষক ক্যাটাগরির চার পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অধ্যাপক পদে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাদা দল, সহকারী অধ্যাপক পদে আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের হলুদ দল এবং সহযোগী অধ্যাপক ও প্রভাষক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অডিটরিয়ামে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে তিনটায় ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কে এম নুর আহমদ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের রাজনীতি তিনটি দলে বিভক্ত। আওয়ামী ও বামপন্থীদের হলুদ দল, বিএনপি ও জামায়াতপন্থীদের সাদা দল এবং শুধু বিএনপিপন্থীদের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
কোন পদে কে বিজয়ী
চারটি পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ১৫। এর মধ্যে সাদা দলের একজন, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের দুজন ও হলুদ দলের চারজন প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া হলুদ দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ছিলেন আরও আটজন।
অধ্যাপক পদে সাদা দলের অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ৯১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হলুদ দলের এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী পেয়েছেন ৬৭ ভোট।
সহযোগী অধ্যাপক পদে হলুদ দলের ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ নঈম উদ্দিন হাছান আওরঙ্গজেব ১০০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হলুদ দলের মোহাম্মদ শহিদুল আলম পেয়েছেন ৬৬ ভোট।
সহকারী অধ্যাপক পদে হলুদ দলের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী ৮৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হলুদ দলের ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ মুহাম্মদ ইয়াকুব পেয়েছেন ৭৮ ভোট।
অন্যদিকে প্রভাষক পদে হলুদ দলের ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ৫৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হলুদ দলের ফাতেমা আক্তার হিরামনি পেয়েছেন ২৮ ভোট৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ হচ্ছে সিন্ডিকেট। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ ও পদোন্নতি থেকে শুরু করে সব সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট। উপাচার্য এই পর্ষদের সভাপতি।