চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিক্ষুব্ধরা শাহ আমানত হলে রুবেলের কক্ষ ভাঙচুর করেন।
গত ১ জুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপ সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করা হয় শাখা ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক ও সিএফসি গ্রুপের কর্মী মোহাম্মদ রমজান হোসাইনকে।
রমজানকে কুপিয়ে জখম করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ফোনালাপে এমনটা স্বীকার করেছেন রুবেল।
ফোনালাপ ভাইরাল হওয়ার পর ক্যাম্পাসে রুবেলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া অডিওতে রুবেল বলেন, ‘তাকে (রমজান) বিভিন্ন মানুষ আয়ত্তে নিয়ে নিছে। নিজের ........(স্ল্যাং) নিজেই মারি ফেলবে। রমজাইন্নারে মারতে হইছে আমার? আমারে চিটাগাং ভার্সিটির সবাই ভয় পাইরে ভাই, ভয় পায়। তুই শুধু আমার পাশে থাক। বাকি কাজ অটো হয়ে যাবে। রমজাইন্নারে কোপ পড়ছে না? অনেক লাফাইছে না? লাফাইছে রমজান। ওই হিসেবে পড়ি গেছে। সবকিছু মুখে বলতে হবে কেন? চুপ করে থাক না। আমারে দাঁড়াইতে দে। দেখবি অনেকে হিসাবের মধ্যে হয় পায়ে এসে পড়বে নয়তো নিজের মতো নিজের হিসাব মিলাই নিবে।’
নিজ গ্রুপের কর্মীকে কোপাতে নির্দেশ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা রুবেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেন, ‘রুবেল নিপাত যাক, চবি ছাত্রলীগ মুক্তি পাক’, ‘অবৈধ সভাপতি মানি না মানব না’, ‘নৈতিকতাহীন সভাপতি, মানি না মানবো না।’
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদাফ খান জানান, রুবেলের নির্দেশেই রমজানকে কোপানো হয়েছে। সেটা ফাঁস হওয়া অডিও ফোনালাপে তিনি স্বীকার করেছেন। নিজ গ্রুপের কর্মীর ওপর যখন একজন ছাত্রলীগ নেতা ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে হামলা করাতে পারে তার কাছে এতো বিশাল ইউনিটের ছাত্রলীগ কর্মীরা কীভাবে নিরাপদ?
ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল বলেন, ফোনকল রেকর্ডটি সুপার এডিটেড। এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমার বিভিন্ন কথাবার্তাকে সংযোজন বিয়োজন করে এই অডিও রেকর্ডটা বানানো হয়েছে।