চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন সংস্কৃত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র অনিক দাস। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকও। কিন্তু বহিষ্কারের পরও পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি।
সোমবার সকালে সংস্কৃত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ৪০৩ নম্বর কোর্সের পরীক্ষায় তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রাজপতি দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে আমরা বহিষ্কারাদেশের কোনো চিঠি পাইনি। তবে তার বহিষ্কারের ব্যাপারটা শুনেছি। কিন্তু চিঠি না পেলে আমাদের কিছুই করার থাকে না। তাই আমরা তাকে পরীক্ষা দিতে দিয়েছি।
অনিক শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী। তাকেও সোমবার কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ২২৫ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিতে দেখা যায়। বহিষ্কৃত হয়েও ১১ জানুয়ারি পরীক্ষা দিয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইনের কর্মী মাহমুদুল হাসান ইলিয়াস এবং একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী নাহিদুল ইসলাম। তবে দায় এড়িয়ে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ বলছে বহিষ্কারের চিঠি পায়নি তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাংবাদিক হেনস্তা, হল ভাঙচুর, বিশৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ৯ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ১৭ নেতাকর্মীসহ মোট ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটি। কিন্তু বহিষ্কারের সাত দিন পেরোলেও বহিষ্কারাদেশের চিঠি বিভাগগুলোতে পৌঁছায়নি। ফলে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সদস্য সচিব রবিউল হাসান ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, অনেকজন একসঙ্গে বহিষ্কার হয়েছে। তাই চিঠিগুলো পাঠাতে একটু সময় লাগছে। তবে বিষয়টি যেহেতু প্রক্রিয়াধীন এক থেকে দুদিনের মধ্যেই চিঠি পাঠিয়ে দেবো।